‘সড়ক পরিবহন বাড়াতেই রেলকে হত্যা করা হচ্ছে’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/09/photo-1449635123.jpg)
নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী ভ্রমণের কথা চিন্তা করলে যে কারো মনে আসবে রেলে ভ্রমণের কথা। জনপ্রিয়তা ও চাহিদা থাকা সত্ত্বেও লোকসানি খাত হিসেবে চিহ্নিত করে রেলকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভাবনা থাকলেও এ ধ্বংসের পেছনে কাজ করেছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। সে সঙ্গে সড়ক পরিবহনকে বাড়াতেই ধীরে ধীরে রেলকে গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞ মারুফ হোসেন।
বেশির ভাগ দেশেই যেখানে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য রেলকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেখানে বাংলাদেশ যে ব্যতিক্রম তা একটি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশে রেলওয়ের তথ্যপঞ্জি থেকে জানা যায়, ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর দর্শনা থেকে জগতি ৫৩ কিলোমিটার ব্রডগেজ লাইন স্থাপনের মাধ্যমে এ দেশে রেলওয়ের যাত্রা শুরু। বর্তমানে বাংলাদেশে রেলপথের পরিমাণ দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার। কিন্তু স্বাধীনতার আগেই ছিল দুই হাজার ৮৫৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে, ১৯৪৭ সালে দেশে যেখানে পাকা সড়ক ছিল ৪৬২ কিলোমিটার, সেখানে বর্তমানে কাঁচা-পাকা মিলিয়ে সড়ক আছে প্রায় তিন লাখ কিলোমিটার। আর যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের চিত্র আরো ভয়াবহ।
১৯৬০-৭০ সালে যেখানে রেলে যাতায়াত করত সোয়া সাত কোটি মানুষ, সেখানে ২০১৩-১৪ সালে এসে রেলে পরিবহন করেছে সাড়ে ছয় কোটি মানুষ। পণ্য পরিবহনেও দেখা গেছে একই চিত্র। অথচ স্বাধীনতার ৪৪ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি।
তবে দেরিতে হলেও রেলপথ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে সরকার। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার পর আশার পালে নতুন করে হাওয়া লেগেছে।
রেল খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে এস এম আতিক তৈরি করেছেন পাঁচ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ থাকছে প্রথম পর্ব। ছবি তুলেছেন জেসন অনুপ বৈদ্য। বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে :