ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে রাবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ৪৫৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী হলেন বশির আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
মারধরকারীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন।
ভুক্তভোগী বশির বলেন, ‘সোমবার সকালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ওই সময় নাকি আমার রুমমেট হাসিব বিছানার ওপর ল্যাপটপ রেখে বের হয়ে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে এসে হাসিব তাঁর ল্যাপটপ পাচ্ছেন না বলে আমাকে জানান। পরে আমরাও উনার ল্যাপটপ খোঁজাখুঁজি করি। এরই মধ্যে হাসিব তাঁর বন্ধুদের বিষয়টি জানান। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির হোসেন ও সহসভাপতি রুহুল রুমে এসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না বলে জানালে তাঁরা আমাকে প্রথমে চড়-থাপ্পর দেন। পরে চুরির বিষয়টি স্বীকার করার জন্য আমাকে চাপ দেন ও স্ট্যাম্প দিয়ে আমাকে অনেক মারধর করেন। এ ছাড়া আজ রাতের মধ্যে ল্যাপটপ এনে দেওয়ার জন্য আমাকে আল্টিমেটাম দেন।’
মারধরের বিষয়টি জানতে ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেন ও রুহুল আমিনের সঙ্গে দুপুর ২টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তারা মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ভুক্তভোগী বশির ফোন দিয়ে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এর বেশি কিছু হয়নি।’
এর আগে দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে বশির মারধরের বিষয়ে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বশিরকে তাঁর রুমমেটরা মারধর করেছেন। ছাত্রলীগের কেউ মারধর করেননি।’
জানতে চাইলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। আমি এই মাত্র বিষয়টি শুনলাম। কেউ অভিযোগ করলে খোঁজ নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।’