ইবিতে ছাত্রদল কর্মীকে বেধড়ক পেটাল ছাত্রলীগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মিজানুর রহমান নাহিয়ান নামের এক ছাত্রদল কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। নাহিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনে ক্লাস করতে যান আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী মিজানুর রহমান নাহিয়ান। এ সময় ভবনের নিচতলার করিডোরে মিজানুরকে একা দেখতে পান ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রলীগের যুবায়ের (আরবি ২০১২-১৩), নকিব ফাহিম ওরফে আশিকসহ (লোক-প্রশাসন ২০১৪-১৫) পাঁচ-সাতজন কোনো কথা ছাড়াই বেধড়ক মারধর করেন মিজানুর রহমানকে। একপর্যায়ে মিজানুর পালিয়ে ভবনের বাইরে আসেন। এ সময় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে গাছের ডাল দিয়ে পুনরায় তাঁকে মারধর করা হয়। এ সময় নবীন শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে দিগবিদিক ছোটাছুটি করেন।
চিকিৎসার জন্য মিজানুর রহমানকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগকর্মী নকিব ফাহিম ওরফে আশিকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকসেবন ও সরবরাহের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান বলেন, ‘এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে কেন তাঁকে মারধর করা হয়েছে তা জানতে পারিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন। সহকারী প্রক্টর ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। আহত শিক্ষার্থীকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি।’
ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের কঠোর শাস্তি এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় দলমত নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সহাবস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়াও ইবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক শাহেদ আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনে সব ধরনের মতের শিক্ষার্থীর সহাবস্থানের দাবি জানানো হয়েছে।