চবির সাবেক সহকারী প্রক্টরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
আজ রোববার দুপুরে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহম্মদ এনটিভি অনলাইনকে আনোয়ার হোসেনকে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় নিজ বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে—এই অভিযোগ এনে ২৪ নভেম্বর তাঁর মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। অন্য আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, সহসভাপতি আবদুল মালেক, মনসুর আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরমান, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম, আপ্যায়ন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সদস্য আরিফুল হক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামশেদুল আলম চৌধুরী।
২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর দিয়াজের মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। ২৩ নভেম্বর পুলিশ জানায়, দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে—এমন আলামত ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মেলেনি। পরে ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর দিয়াজের লাশ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজকে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।
ওই মামলায় গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর চবির শিক্ষক আনোয়ারকে হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।