ঢাবিতে যুগলদের জন্য সেলফি বুথের সমালোচনায় ছাত্রজোট
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে যুগলদের জন্য সেলফি বুথের আয়োজন করে মোটরসাইকেল নির্মাতা ইয়ামাহা কোম্পানি। তারা এই আয়োজনের নামে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট ও বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট এবং ঢাবির শিক্ষার্থীরা।
প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে ইয়ামাহা কোম্পানির এই আয়োজনের সমালোচনা করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। ১৯৮২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির এই দিনে স্বৈরাচরবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ১০ জন শহীদ হন। এরপর এই দিনটি স্বৈরাচর প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে প্রিয় মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে সেলফি বুথের আয়োজন করে ইয়ামাহা কোম্পানি। যেখানে সেলফি তুলে প্রতি এক ঘণ্টায় তিনটি ‘লাকি কাপলকে’ দেওয়া হবে ইয়ামাহা কাপল টি-শার্ট। পরে এই লাকি কাপলদের মধ্যে গ্র্যান্ড ফেসবুক কন্টেস্টের মাধ্যমে তিনটি লাকি কাপল জিতে নিতে পারবে ইয়ামাহার পক্ষ থেকে ‘কাপল রিস্টওয়াচ’।
তাদের এই আয়োজনের সমালোচনা করে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে কাপলদের জন্য ইয়ামাহা কোম্পানিকে দিয়ে ব্যবসা করছে। তারা এর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করছে। এসব মোকাবিলা করার জন্য ডাকসু নির্বাচনের দরকার বলে মনে করেন তিনি।
শুধু প্রগতিশীল ছাত্রজোট নয়; বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এর সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, ক্যাম্পাসে ইয়ামাহার আয়োজন পরিবেশ নষ্ট করছে। রিফাত নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে সচরাচর বিভিন্নভাবে পরিবেশ নষ্ট হয়। তাতে এসব কোম্পানিকে এনে আরো পরিবেশ নষ্ট হবে।
জানতে চাইলে ইয়ামাহা কোম্পানির সুপারভাইজার রাহুল আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের থেকে অনুমতি নিয়ে এই আয়োজন করেছি।’
তবে তাদের এই আয়োজন সম্পর্কে কিছুই জানে না বিশ্ববিদ্যায় প্রশাসন। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তারা কোনো অনুমতি নেয়নি। আমরা বিষয়টি দেখছি।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি তাদের বিষয়ে কিছুই জানি না। এখন শুনলাম। দেখছি।’