এবার ইবির অ্যাম্বুলেন্সে দুর্বৃত্তদের হামলা
উপাচার্যের ওপর হামলার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই হামলার কবলে পড়ল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অ্যাম্বুলেন্স। আজ মঙ্গলবার ভোর রাত পৌনে ৫টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চড়ইয়ার বিল নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অ্যাম্বুলেন্সের চালক আবদুল খালেকের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের আরবি বিভাগের পলি খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। রাতে ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাই। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মিল্টন রোগীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু মাসুদ, মুত্তাকিন মাহমুদা জান্নাতসহ ঝিনাইদহে নিয়ে যাই। পলির বাড়ি মাগুরা জেলায় হওয়ায় তাঁকে ঝিনাইদহ শহর থেকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি শেষে রাত ৩টার দিকে আমরা ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা হই। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে অসুস্থ শিক্ষার্থীর পাঁচ সহপাঠী ছিল। ফেরার পথে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার চড়ইয়ার বিল নামক স্থানে যানজট শুরু হয়। অনেক ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করাই। কিছুক্ষণ পরে কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত আমাদের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অসমর্থ হলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে এবং অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস ভেঙে ফেলে। অস্ত্রের মুখে পলির সহপাঠীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেট, টাকা ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় তারা। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে পুলিশ এসে গাছ সরিয়ে দিলে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা হই।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে সরকারের আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।’
শৈলকুপা থানার কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’