কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ২৬ ছাত্রকে বহিষ্কার
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ২৬ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম ও ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই সাজা দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো নিষিদ্ধসহ সব ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কলেজের অধ্যক্ষ ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি মো. মহসিন উজ জামান চৌধুরী এসব কথা জানান।
সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২১ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল হান্নানের অনুসারী। অন্য পাঁচজন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও অষ্টম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান পলাশের অনুসারী।
গত ৪ জানুয়ারি আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ওই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত ছাত্রদের ছাত্রাবাস ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কলেজে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ডা. শাহআলম বীর উত্তম ছাত্রাবাস ও শেখ রাসেল ছাত্রাবাসও পুলিশি পাহারা রয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজনকে তিন বছরের জন্য, ৯ জনকে দুই বছরের জন্য এবং ১৪ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া আরো ১৮ জনকে সতর্ক করা হয়।
তিন বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. জাওয়াত আররাজ, পঞ্চম বর্ষের হাসিবুল হক ওরফে অর্ণব, একই বর্ষের শেখ আসিফ মাহমুদ।
দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন পঞ্চম বর্ষের মোহাম্মদ ইফতেখার হাসান, কাজী জুয়েল, মো. রাব্বী হোসেন, পঞ্চম বর্ষের (পুরোনো) মো. রিয়াদ হোসেন, পলাশ সরকার, দ্বিতীয় বর্ষের মো. ফয়সাল আমিন, পিয়াল দেব চৌধুরী, নিতাই চন্দ্র সূত্রধর ও জয়দীপ চৌধুরী।
এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে পঞ্চম বর্ষের দীপ্ত দত্ত, স্বপন কান্তি দাশ, চতুর্থ বর্ষের সাখাওয়াত হোসেন, পঞ্চম বর্ষের সাব্বির মাহমুদ, আরিফুল ইসলাম, তৃতীয় বর্ষের শাহ মুহাম্মদ নাজমুচ সাকিব, দ্বিতীয় বর্ষের মোহাম্মদ ইয়াহিয়া মাসুদ, তৃতীয় বর্ষের দেবজিৎ ঘোষ, চতুর্থ বর্ষের সৌমিত্র আচার্য্য, পঞ্চম বর্ষের মো. মাহির হোসেন, তৃতীয় বর্ষের মো. রায়হানুজ্জামান, মাশরুখ আরাফাত রিসান, পঞ্চম বর্ষের তানভীর জামান ও মো. মিজানুর রহমান।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহসিন উজ জামান চৌধুরী বলেন, ‘নানা ধরনের চাপ মোকাবিলা করে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। অপরাধ করলে পার পাওয়া যাবে না -এটা সবাইকে বুঝতে হবে। এখানে আমি কোনো পক্ষের না। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।’