ছাত্রলীগ সম্পাদকের কর্মীকে পেটালেন সভাপতির কর্মীরা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম পক্ষের কর্মী নকিব ফাহিম ওরফে আশিককে পিটিয়ে আহত করেছেন সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন পক্ষের কর্মীরা। আজ বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পরে আশিককে আহত অবস্থায় ক্যাম্পাসের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী নকিব ফাহিম ওরফে আশিক ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি পক্ষের একই বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বিল্লাল এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের রিজভী আহমেদ পাপন, অর্থনীতি বিভাগের লিংকন, বাংলা বিভাগের মোস্তফা, রাব্বি ও বহিরাগত নয়নসহ আট-দশজন হঠাৎ রড নিয়ে আশিককে পেটাতে থাকেন। হামলার একপর্যায়ে আশিক মাটিতে পড়ে যান। এরপর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আশিকের বন্ধুরা তাঁকে ক্যাম্পাসের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান।
হামলার শিকার আশিক বলেন, ‘আমি লাইব্রেরির সামনে দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে বসেছিলাম। এ সময় তারা কোনো কারণ ছাড়াই আমার ওপর হামলা করে।’
বিল্লাল হোসেন বলেন, আশিক সভাপতির নামে বাজে কথা বলে বেড়ায়। তাই ওকে মারধর করা হয়েছে।
ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বলেন, ‘আশিক আমার গ্রুপ করে না। সে অন্য গ্রুপ করে। তবে ছাত্রলীগের একজন কর্মী মার খেয়েছে এটা খুবই দুঃখজনক। আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ক্যাম্পাসে এলে সভাপতির সাথে কথা বলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশিক প্রথমে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ করতেন। পরে সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের গ্রুপে যোগ দেন। পরে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের কর্মী ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের গ্রুপে যোগ দেন। বর্তমানে তাঁর অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলে থাকছেন আশিক।
এ বিষয়ে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘এটি খুবই ঘৃণ্যতম ঘটনা। প্রশাসনিকভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’