কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে জড়ো হয়ে এ কর্মসূচি পালন করে।
এতে রাস্তার দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও ঢাকায় কোটা বিরোধী আন্দোলনে আটকৃতদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও মতিহার থানার পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে যায়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, আজ বুধবার সারা দেশে কোটাবিরোধী অবস্থান কর্মসূচি ছিল। ঢাকায় কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটকও করে। পরে তাঁদের ছাড়াতে গেলে রমনা থানায় আরো ৫০ জনকে আটক করে রাখা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। আন্দোলনকারীদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি ও কোটা পদ্ধতি সংস্কার না করা হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথাও জানায় তারা।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য রাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ মুন্নাফ বলেন, ‘আমরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। ঢাকাসহ সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসছে। অথচ পুলিশ নিরীহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও আটক করছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছি। প্রক্টর স্যারের অনুরোধ ও রাত হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ফিরে গেছে। দ্রুত আটককৃতদের মুক্তি ও দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি দেব আমরা।’
বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মহাসড়কে অবরোধের ফলে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, বিষয়টি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছি। তারা ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে সরে গেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’