আন্দোলনকারীদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/03/16/photo-1521211811.jpg)
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আজ শুক্রবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে শাহবাগ থানা পুলিশ। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলী জানান, অজ্ঞাত সাতশ-আটশজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
গত বুধবার রাজধানীর হাইকোর্ট মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটেছে। তখন পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারীদের আটক করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে হাইকোর্ট মোড়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বাস, মিনিবাস ও প্রাইভেটকারের গ্লাস ভাঙচুর করে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করার কারণে এ মামলা করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাঁরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করে। প্রশাসনের অনুমতিতে তাঁরা হাইকোর্টের সামনে অবস্থান করলে পুলিশ তাঁদের ওপর টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে তাদের ১৫ জনের মতো আহত হয় এবং অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারীদের আটক করা হয়।
ওমর ফারুক আরো জানান, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচী পালন করছিলেন। তাঁরা কোন গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়নি। অথচ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাংচুরের কথা বলে মামলা করে। পুলিশের করা এই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আগামী রোববার সকাল ১০টায় দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা শহরে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে ওই শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদগুলোয় মেধায় নিয়োগ দেওয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।