শাবিপ্রবিতে কক্ষ দখল করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ছুরিকাহত
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শাহপরাণ হলের একটি কক্ষ দখল করতে গিয়ে ছাত্রলীগের এক নেতার ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন আরেক নেতা। এ সময় দুই নেতাকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে সংগঠনের এক কর্মীও আহত হয়েছেন। দুই নেতাকর্মীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের ৩২৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে আহত জাহিদ হাসান নাঈম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিগত কয়েক দিন ধরে শাহপরান হলের ‘সি’ ব্লকের ৩২৫ নম্বর কক্ষটি নিয়ে নাঈমের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রশিদ রাসেলের দ্বন্দ্ব চলছে। তাঁরা দুজনই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী। এর রেশ ধরে রোববার বিকেলে ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী নিয়ে ৩২৫ নম্বর কক্ষ দখল করতে যান নাঈম। এ সময় ওই কক্ষে অবস্থানরত রাসেলকে বের করে দিতে চাইলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে পেটে, পিঠে ও হাতে আঘাত পান নাঈম। এ সময় তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে গেলে আরেক ছাত্রলীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেন লিখনও আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাদের ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আবদুর রশিদ রাসেল বলেন, ‘কক্ষটি কয়েকদিন ধরে দখল করতে জাহিদ হাসান নাঈম আমাকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। আজ ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী নিয়ে আমার কক্ষ দখল করতে আসেন। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে ছুরি দিয়ে মারতে উদ্যত হন জাহিদ। আমি ফেরানোর চেষ্টা করলে নিজের ছুরিতেই তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন।’
নিজেদের কিছু ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান।
এ ব্যাপারে শাহপরান হল প্রভোস্ট মো. শাহেদুল হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে হলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, আহত জাহিদ হাসান নাঈম আশঙ্কামুক্ত নয়। আমরা তাঁর চিকিৎসার ওপর জোর দিচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে বসে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।