শিবির ও জঙ্গি সম্পৃক্ততায় বুয়েটের চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার
শিবিরের রাজনীতি ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে নয় শিক্ষার্থীকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।
আটকদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং একজন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। বাকি চারজনকে সতর্ক করার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত চার শিক্ষার্থীর মধ্যে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান রিয়াদকে এক মেয়াদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া আবাসিক হল থেকে আজীবন বহিষ্কার ও সতর্ক করা হয় ইকবাল মাহমুদ, তারেক রেজা ও মোফ্ফাকির ইসলাম রাফি নামের তিন শিক্ষার্থীকে। আরেক শিক্ষার্থী লুৎফুর রহমানকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
ইসলামী ছাত্রশিবির এবং জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বুয়েটের কাজী নজরুল ইসলাম হলের বর্ধিত ভবনের ৭ নম্বর কক্ষ থেকে তারেক নামের এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার হাবিব অনিক।
অনিক আরো জানান, আটক তারেককে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই আরো সাতজনকে হলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে আটক করা হয়। তারা জানায়, ইকবাল ইবুর নেতৃত্বে বুয়েট ক্যাম্পাস ও হলের বিভিন্ন জায়গায় শিবিরকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে মিটিং করেছে।
আনোয়ার হাবিব অনিক বলেন, ‘সোমবার ইকবালকে ক্যাম্পাস থেকে আটক করা হয়। হল প্রভোস্টের উপস্থিতিতে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আটক শিক্ষার্থীদের বুয়েট প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর বিভিন্ন পদ্ধতির ভিডিও, প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা বিভিন্ন ভিডিও এবং গোলাম আযম ও সাঈদীকে সমর্থন করে তৈরি করা ভিডিও পাওয়া গেছে।’
বুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শুরু হয় এবং মিটিং শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’