কেন ছবির শেষে আগুনে ঝাঁপ দিলেন দীপিকা?
হিন্দিতে শব্দটা ‘জওহ’র। বাংলায় তা অনেকটা সতীদাহ প্রথার সঙ্গে মিলে যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় চিতার আগুনে পোড়াই হচ্ছে যার মূল উদ্দেশ্য। ঠিক এমনটাই দেখানো হয়েছে সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘পদ্মাবত’ ছবিতে। রাজা রতন লাল সিংহের (শহিদ কাপুর) মৃত্যুর পর রানী পদ্মিনীকে (দীপিকা পাডুকোন) ঝাঁপ দিতে দেখা গেছে অগ্নিকুণ্ডে। তবে কি জওহর বা সতীদাহ প্রথাকে সমর্থন করছে পদ্মাবত?
এনডিটিভির খবরে প্রকাশ, ভারতীয় গণমাধ্যমের এই প্রশ্নে জেরবার হচ্ছেন ছবির কলাকুশলীরা। অবশেষে এই ব্যাপারে মুখ খুললেন দীপিকা। তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা জওহরকে সমর্থন করছি না। আপনাকে ছবির পটভূমি দেখতে হবে। যে পটভূমিতে এটি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তাই জওহরকে দেখানো হয়েছে। তবে যখন আপনি বিষয়টা বুঝতে পারবেন, তখন এর শক্তি সম্পর্কে আপনার ধারণা হবে। আপনি বুঝতে পারবেন যে পদ্মাবতী যা করছে, তার মধ্যে কোনো ভুল নেই। সে আগুনের শিখার মধ্যে ঝাঁপ দিচ্ছে, কারণ সে তার ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে মিলিত হতে চায়।’
জওহরের বিষয়ে মুখ খুলেছেন ছবির অন্যতম তারকা শহিদ কাপুরও। তিনি বলেন, ‘জওহর সিনের আগে কী হয়েছে? রাজা মারা গেছেন। রাজা মারা যাওয়ার পর কীভাবে সেখানে উৎসব হয়? প্রতিটি কাজই ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য মাথায় রেখে হয়। চলচ্চিত্রে পদ্মাবতী মনে করেছে, এমন একজন শয়তান মানুষ, যে কি না শুধু তার জন্যই রাজ্যের সব মানুষকে মারতে রাজি, তার সঙ্গে থাকার চেয়ে আগুনে ঝাঁপ দেওয়াটাই শ্রেয়। এখন আপনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন, সে কি ভালো কাজ করেছে না খারাপ কাজ করেছে।’
ষোলো শতকের সুফি কবি মালিক মাহমুদ জয়সির লেখা বিখ্যাত কবিতা ‘পদ্মাবত’কে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে ছবিটির কাহিনী। ছবিতে রানী পদ্মিনীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন দীপিকা পাডুকোন। পদ্মিনীর স্বামী ও মেওয়ারের রাজা রতন সিংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন শহিদ কাপুর। ছবিতে আলাউদ্দিন খিলজির ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর সিংকে। ছবিটি প্রযোজনা করছে ভায়াকম ১৮।