সিনেমার টাকা কোথায় যায়?
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/02/05/photo-1517837652.jpg)
‘আয়নাবাজি’ ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দুটি ছবিই বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ের ব্যবসা সফল ছবি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু দুটি ছবিই বাজার থেকে টাকা ফেরত আনতে পারেনি। দর্শক যদি টিকেট কেটে ছবি দেখে থাকে, তাহলে এই টাকা কোথায় যায়? বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক ও নায়ক ফারুক।
ফারুক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা দিয়ে দর্শক ছবি দেখছেন। কিন্তু আমরা যারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি তারা টাকা হাতে পাই না। তাহলে কোথায় যায় এই টাকা? বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি, কিন্তু কেউ এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমন যদি হতো যে দর্শক হলে আসে না, তাহলে আমাদের কোনো কথা ছিল না। দর্শক ঠিকই টাকা দিচ্ছে, কিন্তু সেই টাকা কোথায় নাই হয়ে যাচ্ছে। বা প্রযোজকের কাছে টাকা আসার আগেই হারিয়ে যাচ্ছে।’
ফারুক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইদানীং সময়ের ছবি আয়নাবাজি ও ঢাকা অ্যাটাক সুপার হিট হয়েছে, কিন্তু এই ছবি দুটি থেকে যখন টাকা ফেরত না আসে, তখন বিষয়টি আর গোপন থাকে না যে টাকা কোথায় যায়। আমার মনে হয়, বিষয়টি নিয়ে সরকার অভিযান পরিচালনা করতে পারে। কারণ দর্শক টাকা দিচ্ছে, আর সেই টাকা কেউ নিয়ে যাচ্ছে, নির্মাতারা টাকা পাচ্ছে না। এ ধরনের অবস্থা প্রমাণ করে দেয়, যে চক্রটি টাকা নাই করে দিচ্ছে, তারা আমাদের দেশের চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য কাজ করছে।’
কোথায় যাচ্ছে টাকা জানতে চাইলে ফারুক বলেন, ‘প্রজেকশন টাকা খেয়ে ফেলছে। আমরা একটা সিনেমা হল মানে বুঝি একটি প্রেক্ষাগৃহ, যার মধ্যে দর্শকদের বসার জন্য আসন থাকবে, সবার সামনে একটা পর্দা থাকবে আর প্রক্ষেপণ করার জন্য প্রজেক্টর থাকবে। কিন্তু একটা চক্র সিনেমা হল কর্তৃপক্ষকে বলছে, তাদের প্রজেক্টর কিনতে হবে না, আমরা দিচ্ছি। তারা প্রজেক্টর দিচ্ছে আর টাকা নাই করে দিচ্ছে। কারণ একটি সিনেমা হলে ছবি চালাতে গেলে প্রজেক্টরের জন্য ভাড়া দিতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের। সাথে আবার প্রতি টিকেট থেকে ১৩ টাকাও নিচ্ছে প্রজেক্টর বাবদ। একজন প্রযোজক একটি টিকেট থেকে পায় আট টাকা, সেখান থেকে সপ্তাহে প্রজেক্টর ভাড়া দিতে হয় ছয় থেকে ১০ হাজার টাকা। আবার পার টিকেটে নিচ্ছে আরো তিন টাকা। তার মানে প্রযোজকের যে টাকাটা আসার কথা সেই টাকা নিয়ে যাচ্ছে প্রজেক্টরওয়ালারা। এটা এখনই বন্ধ না হলে কিছুদিনের মধ্যে সিনেমাই বন্ধ হয়ে যাবে। আমি মনে করি, একটি চক্র আমাদের সিনেমাকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কাজ করছে।’
গত কদিন ধরেই গণমাধ্যমে ‘আয়নাবাজি’ ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির পাওনা টাকা আদায় না হওয়া প্রসঙ্গে অভিযোগ ও ক্ষোভ জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।