মান্নার স্মরণে দোয়া মাহফিল

আজ নায়ক মান্নার ১০ম মৃত্যুবাষির্কী। এফডিসিতে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে এই আয়োজনটি করা হয়। এ ছাড়া মান্নার নিজ বাসায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বাদ মাগরিব।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘সকাল থেকে এফডিসির মসজিদে কোরআন খতম করা হচ্ছে। বাদ আসর আমাদের শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি। এখানে শিল্পী সমিতির সদস্য, চলচ্চিত্র কলাকৌশলীসহ নায়ক মান্নার ভক্তরা অংশ নেবেন।’
মান্নাকে স্মরণ করে জায়েদ খান বলেন, ‘নায়ক মান্না চলচ্চিত্রে যে অবদান রেখে গেছেন তা সারাজীবন সবাই স্মরণ করবে, মান্না ভাই মারা যাওয়ার সময় আমাদের শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আল্লাহর রহমতে আমি এখন সেই দায়িত্ব পালন করছি। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন আমার সিনিয়রদের মতো সংগঠন পরিচালনা করতে পারি।’
নায়ক মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না এনটিভি অলনলাইনকে বলেন, ‘আসলে আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে তো প্রতিদিনই উনাকে মনে করি, তবে আজকের দিনটি অবশ্যই বিশেষ, যে কারণে আমরা বাসায় সকাল থেকেই কোরআন খতম করছি, বাদ মাগরিব আমরা দোয়া করব। যেহেতু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে বাদ আছর মিলাদ, তাই আমরা বাদ মাগরিব আয়োজন করেছি।’
শেলী মান্না আরো বলেন, ‘আসলে মান্না তো শুধু আমাদের পরিবারের নয়, মান্না সারা দেশের মান্না। তাই সবাই দোয়া করবেন তিনি যেখানে আছেন যেন ভালো থাকেন।’
মান্না মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি প্রযোজনাও করেছেন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৮৪ সালে এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে মান্না চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। ওই বছরেই মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি ‘তওবা’। এরপর প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।