আজ কি শাকিব-অপুর বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হচ্ছে?
শাকিব খান গত বছরের ২২ নভেম্বর বিবাহবিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করেন। সেই হিসেবে আজ তিন মাস পূর্ণ হলো। পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ অনুযায়ী ‘নোটিশপ্রাপ্তির ৩০ দিনের ভিতর চেয়ারম্যান পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পুনর্মিলন স্থাপনের উদ্দেশ্যে একটি সালিশি কাউন্সিল গঠন করিবেন এবং এই কাউন্সিল পুনর্মিলন ঘটাইবার জন্য সমস্ত প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’
এ আইনের আলোকেই শাকিব ও অপুর বিষয়টি এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে শাকিব-অপুর বিচ্ছেদ কার্যকরী হচ্ছে, এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে হেমায়েত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার চোখেও পড়েছে এমন দু-একটি নিউজ, যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিচ্ছেদ আজ কার্যকর হলো। বিষয়টা আসলে তা নয়। শাকিব খান যেদিন স্বাক্ষর করেছিলেন, সেদিন থেকে তিন মাস পর কার্যকর হবে ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা সিটি করপোরেশন তাদের তিন মাসে তিনবার ডাকব, সেই তৃতীয়বার বিষয়টির ফয়সালা হবে। যে কারণে আজ তাদের বিচ্ছেদ বা পুনরায় সংসার শুরু কোনোটাই হচ্ছে না।’
হেমায়েত হোসেন আরো বলেন, ‘এর আগে আমরা দুবার তাঁদের ডেকেছি। প্রথমবার অপু বিশ্বাস এলেও শাকিব খান বা উনার কোনো প্রতিনিধি আসেননি। দ্বিতীয়বার তাঁরা কেউই আসেননি। আগামী ১২ মার্চ আমাদের তৃতীয় বৈঠক। সেখানে যদি তাঁরা না আসেন, তা হলে আমরা মামলা খারিজ করে দেবো। তাঁরা যেহেতু কেউ আসছেন না, আমরা বুঝে নেব তারা আর একসঙ্গে থাকতে চান না। আর এ বিষয়ে একজন এসে লাভ নেই। এলে দুজনকেই আসতে হবে।’
গত বছরের ডিসেম্বরে অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব খান। তালাকের একটি কপি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পঠানো হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর একটি চিঠির মাধ্যমে সিটি করপোরেশনে ১৫ জানুয়ারি হাজির হতে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসকে বলা হয়। সেদিন শুধু অপু বিশ্বাস সিটি করপোরেশনে যান। শাকিব খান তখন থাইল্যান্ডে একটি ছবির গানের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। দ্বিতীয়বার ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ডাকা হলে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস দুজনে অনুপস্থিত থাকেন। এখন আগামী ১২ মার্চ তৃতীয় ও শেষবারের জন্য তাঁদের আবারও ডাকা হয়েছে। এদিন যদি তাঁরা না উপস্থিত হন, তাহলে বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে যাবে।
গত বছর এপ্রিলে ঢাকাই ছবির নতুন নায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে শাকিব ঘরোয়া পরিবেশে একটি ছবি তোলেন। ছবিটিতে ‘ফ্যামিলি টাইম’ ক্যাপশন লিখে নিজের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করেন বুবলী। এর পরই অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে শাকিব খানের। ছবিটি প্রকাশের পর গণমাধ্যমে দীর্ঘদিন গোপনে থাকা বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি খোলাসা করেন অপু। তখন থেকেই শাকিবের সঙ্গে অপুর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। যা পরে তালাকানামা পাঠানো পর্যন্ত গড়ায়।