আরফিন রুমি গান গাইবেন তবে...
আরফিন রুমি দেশের একজন সংগীতশিল্পী। তবে তিনি গান আর না গাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ খবর তিনি সম্প্রতি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছেন।
আরফিন রুমি লিখেছেন, ‘ভাসিয়ে না দিলে তো কবুল করেন না, আশা করছি আমাকে আর কখনো কোথাও গান গাইতে দেখবেন না। ইনশা আল্লাহ যে দিন আমার মরণ কালেও ফিরে আসা...। ’
এ বিষয়ে আরফিন রুমির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আরফিন রুমি গাওয়া প্রায় ২০টির অধিক গানের গীতিকার হলেন জাহিদ আকবর। তিনি গতকাল শনিবার আরফিন রুমির সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানান।
আরফিন রুমির সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে এনটিভি অনলাইনকে জাহিদ আকবর বলেন, ‘রুমি একবারে গান ছেড়ে দিবে এটা আমাকে বলে নাই।আমাকে বলেছেন নিজেকে চেনার জন্য তিনি আরো অপেক্ষা করছেন।’
এ বিষয়ে ফেসবুকে জাহিদ আকবর একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বর্তমানে গান করছেন না, তবে ? আরফিন রুমি কী গান ছেড়ে দিবে? আমরা কার গান শুনব। তার গান দিয়ে বাংলা গান শোনা শুরু করেছি। খুব কান্না পাচ্ছে আমাদের। দয়া করে তাকে গানে ফিরে আসতে বলেন। ভাই, কী খবর রুমি ভাইয়ের। গত কয়েকদিন থেকে এমন হাজার হাজার ম্যাসেজ আমার ফেসবুক ইনবক্সে ভরা। একটা মানুষ কতটা জনপ্রিয় হলে এমন সম্ভব সেটা ভাবছি।অল্প সময়ে এতটা জনপ্রিয় গান কোনো শিল্পী দিতে পারেননি। তার হাত ধরে অনেক শিল্পীর পথচলার শুরু। সেই শিল্পীরা এমনি হয়তো অস্বীকার করতে পারেন। নিজের মনের ভেতর থেকে অস্বীকার করতে পারবেন না। এবার আসি রুমির গান ছাড়ায় বিষয়ে। একজন শিল্পী কখনো গান ছাড়তে পারে না। ছেড়ে থাকা সম্ভব নয়। একটা সাময়িক বিরতি থাকতে পারে। আরফিন রুমির ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা বলছেন, লিখেছেন রুমি বর্তমানে গান তৈরি করছেন সেটা একেবারেই ভুল কথা বলেছেন। সেটা রুমির সঙ্গে কথা না বলে লিখেছেন। তবে গান তৈরি করবেন। নিজের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে তবেই। এটা পাঁচ মাস অথবা ছয় মাসও হতে পারে। তার ভক্তদের হতাশ হবার কিছুই নাই। নতুন গান পাবেন আপনারা। একটু অপেক্ষা করতে হবে। অনেকেই হয়তো বলবেন তাহলে এমন গান ছাড়ায় কথা লিখলেন কেন। মাঝে মাঝে দেখতে হয় মানুষের ভালোবাসার সীমানা। সেই জায়গা থেকেই এমন বলেছেন। তিনি আরেকটা কথাও কিন্তু লিখেছেন। গাছে পাতা ঝরে যায় আবার নতুন পাতার অপেক্ষায়। বিষয়টা অনেকেই বুঝেননি। আশা করি বিষয়টা বোঝাতে পেরেছি। গতকাল আমরা ঢাক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গালিমপুর গেছিলাম। যেখানে রুমি বর্তমানে আছেন। তবে তার ঢাকার বাড়ি আগের ঠিকানায় আছে, থাকবে। সেখানে গিয়ে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা আমাদের অনেক কথা, আডডা, রাতের খাবার খাওয়া হয়েছে। সঙ্গে ছিলেন তুরুণ তূর্কি সাংবাদিক অনিন্দ্য মামুন, শাদ শাহ। হয়তো পুরো বিষয়টা বোঝাতে পেরেছি। ভালোবাসা আপনাদের। নতজানু আপনাদের ভালোবাসার কাছে।’