শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর
আজ ১২ মার্চ সোমবার শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হলো। আজ থেকে শাকিব ও অপুকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য করা হবে না। এমনটাই জানালেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন।
হেমায়েত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের মামলাটি খারিজ করব। আজ আমাদের তৃতীয় ও শেষ তারিখ ছিল। এর আগে দুবারে তাঁদের তলব করা হয়, প্রথমবার অপু বিশ্বাস এসেছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় তারিখে কেউ আসেননি। আজ এখন পর্যন্ত শাকিব-অপুর পক্ষে কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। যদিও এক পক্ষের কেউ এসে কোনো লাভ নেই। পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হচ্ছে আজ।’
শাকিব খান গত বছরের ২২ নভেম্বর বিবাহবিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করেন। সেই হিসেবে গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিন মাস পূর্ণ হয়। এ বিষয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে আরো বলেন, ‘শাকিব খান যেদিন স্বাক্ষর করেছিলেন, সেদিন থেকে তিন মাস পর কার্যকর হবে ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা সিটি করপোরেশন তাদের তিন মাসে তিনবার ডাকব, সেই তৃতীয়বার বিষয়টির ফয়সালা হবে। সেই হিসেবে আজ তাদের বিচ্ছেদ কার্যকর হচ্ছে।’
গত বছরের ডিসেম্বরে অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব খান। তালাকের একটি কপি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পাঠানো হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর একটি চিঠির মাধ্যমে সিটি করপোরেশনে ১৫ জানুয়ারি হাজির হতে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসকে বলা হয়। সেদিন শুধু অপু বিশ্বাস সিটি করপোরেশনে যান। শাকিব খান তখন থাইল্যান্ডে একটি ছবির গানের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। দ্বিতীয়বার ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ডাকা হলে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস দুজনে অনুপস্থিত থাকেন। আজ ১২ মার্চ তৃতীয় ও শেষবারের জন্য তাঁদের আবারও ডাকা হয়েছে। বেলা ১২টা নাগাদ কেউ উপস্থিত না হওয়ায় বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হয়।
গত বছর এপ্রিলে ঢাকাই ছবির নতুন নায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে শাকিব ঘরোয়া পরিবেশে একটি ছবি তোলেন। ছবিটিতে ‘ফ্যামিলি টাইম’ ক্যাপশন লিখে নিজের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করেন বুবলী। এরপরই অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে শাকিব খানের। ছবিটি প্রকাশের পর গণমাধ্যমে দীর্ঘদিন গোপনে থাকা বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি খোলাসা করেন অপু। তখন থেকেই শাকিবের সঙ্গে অপুর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। যা পরে তালাকানামা পাঠানো পর্যন্ত গিয়ে গড়ায়।