গাজী রাকায়েতকে নির্দোষ দাবি করলেন এস এ হক অলিক
‘মিডিয়াকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কোনো বিষয় যাচাই-বাছাই ছাড়া কীভাবে নিউজ করা হয়? এটা আমি বুঝি না। কেউ একজন ফেসবুকে কিছু একটা লিখল, আর সবাই তা নিয়ে মেতে উঠল—আসলে বিষয়টি কী, তা কেউ জানার আগেই সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিল। আর তা যাচাই না করেই নিউজ করল অনেকে। এতে করে আমাদের সমাজের সম্মানিত মানুষের যেমন সম্মান যাচ্ছে, তেমনি সমাজ তার মূল্যবোধ হারাচ্ছে।’ কথাগুলো এনটিভি অনলাইনকে বলছিলেন বাংলাদেশ নাট্যনির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক। সম্প্রতি অভিনেতা, নির্মাতা ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধে ফেসবুকে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গেই এসব কথা বলেন অলিক।
অলিক আরো বলেন, ‘সঙ্গীতা অপরাজিতা নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে রাকায়েত ভাইকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। যিনি মূল অভিযোগকারী, তিনি সঙ্গীতার বন্ধু। যা হোক, স্ট্যাটাস দেওয়ার পরপরই বিষয়টি নিয়ে আমরা ডিরেক্টরস গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘ একসঙ্গে বসি গত ১০ তারিখ। সঙ্গীতার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। যে মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়, তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি, কিন্তু সঙ্গীতা তার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ করিয়ে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার বসেছি। বিষয়টি ফয়সালা করার চেষ্টা করছি।’
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে অলিক বলেন, ‘রাকায়েত ভাই তিনটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন, এর মধ্যে একটি তিনি সরাসরি পরিচালনা করেন আর দুটি উনার ছাত্ররা পরিচালনা করেন। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতে উনার দুটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। এবং হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ওই মেয়ের ইনবক্সে কথা বলা হয়। গতকাল আমরা ডিরেক্টরস গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘ আইটির লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর থেকে এ দুটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে এমন করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করব।’
অলিক আরো বলেন, ‘গাজী রাকায়েত সাহেব কেমন মানুষ, তা আমরা সবাই জানি। এমন মানুষের নামে এমন কিছু করে আমাদের মিডিয়াকে ধংস করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সবচেয়ে অবাক হই, যখন আমাদের কাছের মানুষগুলো আমাদের সঙ্গে কথা না বলে এসব বিষয় নিয়ে অন্যত্র কথা বলতে থাকেন। আমি মনে করি, সমাজের ভারসাম্য ঠিক রাখার স্বার্থে হলেও সঠিক বিষয়টি না জানার আগপর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করা উচিত। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি মূল অপরাধীকে আমরা আইনের আওতায় আনতে পারব।’