অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় আলোকচিত্রী মনির
মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন চলচ্চিত্রের স্থিরচিত্রগ্রাহক মোহাম্মদ মুনিরুদ্দিন মুনির। বিএফডিসিতে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘কালা’ হিসেবে। গত ছয় মাস তিনি কিডনি রোগে ভুগছেন।
সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালিসিস করানোর কথা থাকলেও টাকার অভাবে তিনি তা করতে পারছেন না। বর্তমানে তিনি গাজীপুরে নিজ বাসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
এ বিষয়ে মুনিরুদ্দিনের মেয়ে নাসরিন আহম্মেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রায় ছয় মাস আগে বাবার কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। ডাক্তার প্রতি সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালিসিস করানো কথা বলেছিলেন। আমরা তা প্রথম দুই মাস করাতে পারি। তারপর টাকার অভাবে এখন বাবার চিকিৎসা বন্ধ আছে। আমি উত্তরায় থাকি। আমার বাসা থেকে কাছেই বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, সেখানেই চিকিৎসা করাচ্ছিলাম। টাকার অভাবে যখন চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়, তখন বাবা আর আমার কাছে থাকতে চাননি। এখন তিনি আমাদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে চলে গেছেন। সেখানেই এখন মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছেন।’
নাসরিন আরো বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের চলচ্চিত্রে টেকনিশিয়ানরা তেমন টাকা পায় না। সারা জীবনে ১০ লাখ টাকার মতো জমিয়েছিলেন। পুরো টাকাই এখন শেষ। একজন চলচ্চিত্রকর্মী হিসেবে আমরা চলচ্চিত্রের মানুষের কাছে সাহায্য চাই। আপনারা বাবার পাশে দাঁড়ালে হয়তো বাবাকে বাঁচাতে পারব।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র স্থিরচিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্রে টেকনিশিয়ানরা তেমন টাকা পায় না।
যে টাকা পায়, তাতে মাস চালাতেই কষ্ট হয়। যে কারণে কোনো অসুখ হলে তার চিকিৎসা করানো কঠিন হয়ে যায়। মনির ভাইয়ের বিষয়ে আমরা জানি এবং উনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার মনে হয়, দেশের শিল্পীরা যদি উনার পাশে দাঁড়ান, তা হলে একটা সুরাহা হতে পারে।’
মোহাম্মদ মুনিরুদ্দিন মুনির ১৯৮৬ সাল থেকে চলচ্চিত্র স্থিরচিত্রগ্রাহক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি পরিচালক এহতেশামের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিছুদিন আগে শাকিব খান অভিনীত ‘আমি নেতা হবো’ ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি।