পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশে চলচ্চিত্রশিল্পের এক পরিচিত নাম শহীদুল ইসলাম খোকন। ২০১৬ সালের আজকের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আজ তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবাষিকী। তবে দিনটিকে কেন্দ্র করে বিএফডিসিতে কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। পারিবারিকভাবে দিবসটি পালন করা হয়েছে।
শহীদুল ইসলাম খোকনের বড় ভাইয়ের ছেলে রাইসুল ইসলাম রনি বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে দিনটি পালন করছি। আজ চাচার বাসা উত্তরায় কোরআন খতম দেওয়া হচ্ছে। উনাকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানে দাফন করা হয়, সেই কবরস্থান মাদ্রাসায় এতিমদের খাওয়ানো হয়েছে। পরিবারের সবাই কবর জিয়ারত করেছেন।’
এফডিসিতে কোনো আয়েজন নেই জানিয়ে রনি বলেন, ‘আমার চাচা শুধু আমাদের পরিবারের নয়, তিনি মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করেছেন, ভেবেছেন। আমরা আশা করেছিলাম, এফডিসিতে কোনো একটা আয়োজন থাকবে। যেহেতু তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দুবার সভাপতি ছিলেন, সে হিসেবে হলেও একটা মিলাদের আয়োজন করা হবে। তারপরও আমরা তৃপ্ত, সাধারণ মানুষ উনাকে মনে রেখেছেন। শহীদুল ইসলাম খোকন ফ্যান ক্লাব আজ বাদ মাগরিব এফডিসিতে মিলাদের আয়োজন করেছে।’
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন শহীদুল ইসলাম খোকন। তাঁকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। মুখগহ্বরের মোটরনিউরন ডিজিসে (এএলএস) আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয়েছিল খোকনকে। রোগের চিকিৎসা না হওয়ায় পরে দেশে ফিরে ভর্তি হন উত্তরার একটি হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ এপ্রিল ২০১৬ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান তিনি।
অভিনেতা ও প্রযোজক মাসুদ পারভেজের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেছিলেন খোকন। ১০ বছর ধরে তিনি মাসুদ পারভেজের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। এর পর শুরু করেন একের পর এক চলচ্চিত্র নির্মাণ। রক্তের বন্দী, লড়াকু, বীরপুরুষ, বজ্রমুষ্টি, উত্থান পতন, বিশ্বপ্রেমিক, সন্ত্রাস, ঘাতক, চেহারা, টাকা, লাল সবুজ, ম্যাডাম ফুলি, পালাবি কোথায়, ভণ্ড তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবি।