রায় ঘোষণার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন সালমান

অবশেষে আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন সালমান খান। ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কঙ্কানি এলাকায় ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংকালে বিরল প্রজাতির দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সালমানকে। শুনানিতে আসা আবেগপ্রবণ সালমান এ রায় শোনার পরপরই দুই বোনকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে মামলার অন্যান্য অভিযুক্ত বলিউড তারকা সাইফ আলি খান, টাবু, নিলম ও সোনালি বেন্দ্রেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খালাস পেয়েছেন স্থানীয় ভ্রমণ গাইড দশয়ান্ত সিং এবং সালমানের তৎকালীন সহকারী দীনেশ গোয়ারে।
ডিএনএ ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, ভারতের বন্যপ্রাণী আইনের ৯-এর ৫১ ধারায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে সালমানের। তবে সালমানের আইনজীবী এইচ এম সারস্বতের দাবি, সরকারি আইনজীবী আদালতে অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করতে পারেননি। বন্দুকের গুলিতেই যে কৃষ্ণসার হরিণের মৃত্যু হয়েছে, তা-ও প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকারি পক্ষ।
১৯৯৮ সালের ১ ও ২ অক্টোবর যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের মাঝে দুটি আলাদা জায়গায় দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেছিলেন সালমান। রাজস্থানের কঙ্কানি এলাকায় গ্রামবাসী জানান, গুলির শব্দ শুনে তাঁরা সালমানের জিপসি গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিলেন। সেই সময় মামলার অন্য আসামিরা গাড়িতেই ছিলেন। আর গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন সালমান। প্রবল গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।
আবুধাবিতে ‘রেস-৩’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন সালমান। প্রায় ২০ বছর চলা এ মামলার শুনানির জন্য ভারতে আসেন তিনি। এদিকে সালমানের দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ সালমানের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। কেউ আবার আইনের দৃষ্টি দিয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন।