জামিন হলো না সালমানের
আরো একটি রাত কারাগারে থাকতে হবে সালমান খানকে। বিরল প্রজাতির দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের দায়ে গতকাল পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণা করে সালমানকে কারাগারে পাঠান যোধপুর আদালত। দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকে রায় ঘোষণার মধ্যবর্তী সময়টাতেই সালমানের জামিন আবেদনের কাগজপত্র তৈরি করতে বসেন তাঁর আইনজীবীরা। আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তা পেশ করা হয় আদালতে। জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আজকের মতো আদালত মুলতুবি ঘোষণা করেছেন যোধপুরের আদালত।
গালফ নিউজ ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, ভারতের সেশন আদালতের বিচারক রবীন্দ্র কুমার জোশি গণমাধ্যমকে জানান, আদালত ৭ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামীকাল আবারও শুরু হবে সালমানের জামিন আবেদনের শুনানি। সালমানের আইনজীবী মহেশ ভোরা বলেন, ‘আমরা সালমানের জামিন আবেদন আদালতে পেশ করেছি। আসলে যে প্রত্যক্ষদর্শীর কথা তারা বলছে, সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিচার আদালত শুধু একটি প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।’
এরই মধ্যে এক রাত কারাগারে কাটিয়েছেন সালমান। কারাগারে ২ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন সালমান। একই ওয়ার্ডে রয়েছেন ধর্ষণ মামলার আসামি আশারাম বাপুরে, ভানওয়ারি দেবী হত্যা মামলার আসামি মালখান সিং ও মুসলিম অভিবাসী হত্যার আসামি সাম্ভু লাল রেগার। সালমানকে রাখা হয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি আলাদা কামরায়। দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সালমানের জন্য। সালমানের কয়েদি নম্বর দেওয়া হয়েছে ১০৬।
১৯৯৮ সালের ১ ও ২ অক্টোবর যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের মাঝে দুটি আলাদা জায়গায় দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেছিলেন সালমান। রাজস্থানের কঙ্কানি এলাকায় গ্রামবাসী জানান, গুলির শব্দ শুনে তাঁরা সালমানের জিপসি গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিলেন। সেই সময় মামলার অন্য অভিযুক্ত সাইফ আলি খান, টাবু, নিলম ও সোনালি বেন্দ্রে গাড়িতেই ছিলেন। আর গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন সালমান। প্রবল গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।