সালমানের পাশে বলিউড তারকারা
১৯৯৮ সালে যোধপুরের কঙ্কানি এলাকায় ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংকালে বিরল প্রজাতির দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের দায়ে পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে সালমান খানকে। সালমানের এমন দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউডের অন্য তারকারা। আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান রাখার পাশাপাশি সালমানের প্রতি সহানুভূতির কোনো কমতি রাখছেন না তাঁরা। জিনিউজের খবরে প্রকাশ, সহানুভূতি দেখাবার মাধ্যম হিসেবে টুইটারকে বেছে নিয়েছেন বলিউড তারকারা।
বরুণ ধাওয়ান তাঁর টুইট বার্তায় লিখেন, ‘আমি একটা কথা জানি যে সালমান ভাই এবং তাঁর পরিবারের আমাদের বিচার ব্যবস্থার ওপর সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে। মানুষ হিসেবে সালমান খান খুবই দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী। আমি তাঁকে জানি এবং আমি নিশ্চিত সে আরো দৃঢ়ভাবে ফিরে আসবে।’
বলিউড তারকা অর্জুন রামপাল তাঁর টুইট বার্তায় লিখেন, ‘আইন অবশ্যই তার গতিতে যাবে। এ নিয়ে কোনো তর্ক করা যাবে না। কিন্তু এই বিন্দুতে এই সময়ে এসে আমি অসহায় বোধ করছি এবং আমার হৃদয় সালমান এবং তাঁর পরিবারের দিকেই যাচ্ছে। তবে সবশেষে সালমান একজন আসামি। এটা আমার জন্য মেনে নেওয়া কঠিন হচ্ছে। আমি আশা করছি সে দ্রুত মুক্তি পাবে।’
পরিচালক সুভাষ ঘাই তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘আমি খবরটা শুনেই খুবই বিস্মিত হয়েছি, তবে ভারতের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এখনো চূড়ান্ত বিচারের দরজা খোলা রয়েছে। সালমান আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে পছন্দের মানুষ এবং তাঁর মধ্যে মানবীয় গুণাবলিও রয়েছে।’
এ ছাড়া বলিউড অভিনেতা রাজ কুন্দ্রা তাঁর টুইটে জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় আইন জরাজীর্ণ এবং পুরনো হয়ে গেছে। এটা পরিবর্তন করা উচিত। যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে মামলা ঠুকতে পারে। আদালত বলে সে অপরাধী নাকি অপরাধী নয়। লোকেরা এক আদালত থেকে অন্য আদালতে ঘুরতে থাকে। সালমান এই বিচার পাওয়ার যোগ্য নয়।’
১৯৯৮ সালের ১ ও ২ অক্টোবর যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের মাঝে দুটি আলাদা জায়গায় দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেছিলেন সালমান। রাজস্থানের কঙ্কানি এলাকায় গ্রামবাসী জানান, গুলির শব্দ শুনে তাঁরা সালমানের জিপসি গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিলেন। সেই সময় মামলার অন্য অভিযুক্ত সাইফ আলি খান, টাবু, নিলম ও সোনালি বেন্দ্রে গাড়িতেই ছিলেন। আর গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন সালমান। প্রবল গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।