শাহ আবদুল করিমের জন্মশতবর্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান

‘গাড়ি চলে না চলে না’, ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে’, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’, ‘কুঞ্জ সাজাও গো’—এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা বাউল শাহ আবদুল করিম। দেশের ভাটি অঞ্চল সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ধল-আশ্রম গ্রামে ১৯১৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন দেশের বরেণ্য এই বাউলসাধক।
একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকসংগীতের এই প্রাণপুরুষ তাঁর জন্মতারিখ সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘মা বলেছেন জন্ম আমার ফাল্গুন মাসের প্রথম মঙ্গলবার।’ সে অনুযায়ী এবার তাঁর জন্মদিন ছিল গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। আর সে হিসেবে এ বছরের গতকাল পূর্ণ হলো তাঁর জন্মশতবর্ষ।
বাউলসাধক শাহ আবদুল করিমের এই জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘শাহ আবদুল করিম জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’র আয়োজনে শুরু হলো বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ‘নন্দন’ মঞ্চে শুরু হয় এই আয়োজন। বছরব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন ও লোগো উন্মোচন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শাহ আবদুল করিমের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনায় সভা। এতে অংশ নেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, কলকাতার সংগীতদল দোহারের কর্ণধার কালিকা প্রসাদ, গবেষক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা শেষে শুরু হয় আবদুল করিমকে নিবেদিত একক ও দলীয় সংগীতের পরিবেশনা। একক কণ্ঠে গান শোনান সুবীর নন্দী, চন্দনা মজুমদার, কানন বালা সরকার, ফকির শাহাবুদ্দীন ও শাহনাজ বেলি। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে বহ্নিশিখা ও কলকাতার লোকগানের দল ‘দোহার’। বছরব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার সহযোগিতায় রয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।