টাকের সমস্যা সমাধানে আধুনিক চিকিৎসা কী?
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বংশগত কারণ ইত্যাদি টাকের সমস্যার জন্য দায়ী। টাকের সমস্যা সমাধানে এখন অনেক আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৭৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চর্ম ও যৌন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : টাক পড়ার চিকিৎসা কী?
উত্তর : আমরা প্রথম পর্যায় থেকে শুরু করি। তাহলে প্রতিরোধ করার জন্য ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ফল—সব খেতে হবে। অনেকে কেবল ভিটামিন ই খান। আসলে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত নয়। এর জন্য সব ধরনের ভিটামিন লাগবে, প্রোটিন লাগবে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস চুল ভালো রাখার জন্য উপকারী। আপনি বেশি জেল ব্যবহার করেন, বেশি স্ট্রেটনার ব্যবহার করেন, চুল পড়বে বেশি। যারা বেশি রাত জাগে, তাদের চুল পড়বে বেশি। মানসিক চাপ যাদের বেশি, তাদেরও চুল পড়বে। মানসিক চাপকে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। চেষ্টার আমরা ত্রুটি রাখব না। এরপর যা হয় হবে। এ রকম একটা বিষয় মনে রাখতে হবে জীবনে। মানসিক চাপ কমাতে হবে।
প্রশ্ন : চিকিৎসা কী?
উত্তর : আমরা যেটা বলছিলাম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট দিলাম, এর সঙ্গে এন্ড্রোজেন যেটা, যার কারণে চুল পড়ে যায়, তার বিরুদ্ধে কিছু অ্যান্টিএন্ড্রোজেন রয়েছে, সেগুলো দিই। কম বয়সে ওষুধগুলো বেশি কার্যকর। বেশি বয়সে, এই ওষুধগুলো তেমন কার্যকর হয় না। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বেশি বয়সে আমরা এই ওষুধগুলো দিতে চাই না। যাদের ২০/২৫ বছর বয়সে চুল পড়ে যাচ্ছে, তাদের জন্য আমরা এই ওষুধগুলো দিই। দেখা যায়, চুল তো পড়া কমেই, কিছু চুল গজায়ও। সঙ্গে একটি লোশন রয়েছে, সেটিও আমরা দিতে পারি। দিলে কিন্তু আমরা চুলটাকে ধরে রাখতে পারি। এরপর দেখা যায় মাঝেমধ্যে কঠিন হয়ে যায়। ধরে রাখা যাচ্ছে না। চুল পড়ছে। এখন নতুন একটি চিকিৎসা এসেছে। একে আমরা পিআরপি বলি।