ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব বিষয়
ত্বকের ক্যানসার কয়েক ধরনের হয়। কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৮৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. মারুফুল ইসলাম।
বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বিভিন্ন ক্যানসারের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও কিছু কিছু ক্যানসারের বেলায় ঝুঁকির কারণ থাকে। এগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ত্বকের ক্যানসারের বেলায় ঝুঁকি বাড়ায় কোন বিষয়গুলো?
উত্তর : ঝুঁকির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একেবারেই কিছু করেনি। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে বেশি গেলে বেজাল সেল কারসিনোমা বেশি হয়। এসব জায়গায় বেজাল সেল কারসিনোমা পাওয়া যায়। স্কোমাসেল কারসিনোমাও এসব ক্ষেত্রে হতে পারে। নাকে হতে পারে, ঠোঁটে হতে পারে, থুঁতনিতে হতে পারে। আর ম্যালিগনেন্ট মেলানোমা যেটি এটিও হয়। মুখে হতে পারে, আঙুলে হতে পারে, পায়ে হতে পারে। ম্যালিগনেন্ট মেলানোমা সবচেয়ে ক্ষতিকর। আমরা যে মোল বলি বা তিল বলি, সেগুলো কোনো কোনোটি পরিবর্তিত হয়ে ম্যালিগনেন্ট মেলানোমাতে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে মনোযোগ থাকা দরকার।
মোলের ক্ষেত্রে যাদের অনেক রয়েছে, ১০/১২টা বা ৪/৫টা মোল এক জায়গায় বা একটি মোলই রয়েছে, মোলের ক্ষেত্রে আমরা কিছু বিষয় মনে রাখতে পারি। মোলটা পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে কি না, মোলের সীমারেখা অনিয়মিত হয়ে গেল কি না, মোল খসখসে, রং পরিবর্তিত বা মোলের আকার বেড়ে যাচ্ছে কি না। আরেটি হলো পুরোপুরি পরিবর্তন। এই ক্ষেত্রে মোটামুটি সতর্ক থাকতে হবে। যখনই বোঝা যাবে, এই পাঁচটার কোনো একটি পরিবর্তন, নিজের কাছে মনে হচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। শেষের দিকে মনে হচ্ছে চুলকায় খুব বেশি। আগে এ রকম হতো না। এখন চুলকায়। এ ক্ষেত্রে কিন্তু মোটেও দেরি করা ঠিক হবে না। অফিশিয়ালি অবশ্যই একজন সার্জনের কাছে যাওয়া উচিত। প্লাস্টিক সার্জনের কাছে যাওয়া উচিত। না হলে অনন্ত একজন জেনারেল সার্জনের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। ডার্মাটোলজিস্টের কাছেও যেতে পারে।