ত্বকের ক্যানসারের চিকিৎসা কী?
অনেক সময় মোল বা তিল থেকে ত্বকের ক্যানসার হয়। তখন অনেক সময় সার্জারির প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন চিকিৎসা রয়েছে ত্বকের ক্যানসারের।
ত্বকের ক্যানসারের চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৮৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. মারুফুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এরকম হলে চিকিৎসার পদ্ধতি কি রয়েছে?
উত্তর : এই ক্ষেত্রে আমরা তিনটি অপশন রাখি। নিশ্চিত করা, পর্যবেক্ষণ করা, চিকিৎসায় চলে যাওয়া। আমাদের অপশন তিনটি। এই জন্য সার্জনের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকরা নির্ধারণ করেন পর্যবেক্ষণ করে, ইন্টারভেনশনে যেতে হবে কি না।
প্রশ্ন : কোন পর্যায়ে আপনারা মনে করেন যে সার্জারিতে যাওয়া দরকার?
উত্তর : রোগীকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। লেশনটা পর্যবেক্ষন করতে হবে। যখন মনে হবে লেশনটা অবশ্যই ক্যানসারের দিকে যাচ্ছে। আর অন্য যেই ক্যানসারগুলো বলছিলাম, এগুলোর ক্ষেত্রে যদি লেশনটা বড় হয়, তাহলে বায়োপসি নিয়ে হিস্টোপ্যাথোলজি করা দরকার। ক্লিনিক্যালই কিন্তু ৮০/ ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে বোঝা যায়, এটি এই দিকে যাচ্ছে। তখন যদি লেশনটা একটু ছোট হয়, আমরা এক সেটিংয়ে করে ফেলি। ক্যানসার এক্সটারভেশন করে। সার্জারি করেই হিস্টোপ্যাথোলজিক্যাল করা যায়। একে এক্সিশোনাল বায়োপসি বলা হয়। সম্পূর্ণ লেশনকে আমরা একদম ফেলে দেব। মার্জিনটা এখানে একটি বিষয় যে আমরা কোন ক্যানসারের ক্ষেত্রে কতটুকু মার্জিন দেব। ক্যানসারাস টিস্যুর সঙ্গে ভালো কিছু টিস্যু ফেলে দিতে হবে।
ত্বকের ক্যানসার মুখে বেশি হয়। এখন মুখের একটি অংশ কেটে ফেলে দিলেন, তাহলে বিরাট একটি গ্যাপ থেকে যাবে। এই গ্যাপ পূরণ করবেন কীভাবে? তখনই ঠিক করা দরকার। তখনই একজন প্লাস্টিক সার্জন প্রয়োজন।
প্রশ্ন : মুখেতো দাগই রাখতে চাই না। এই ক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তর : সব রোগীরই এটি নিয়ে একটি ভীতি থাকে। তবে আমরা বাংলাদেশে দেখি যে বেশিরভাগ রোগী এতটাই পরে আসে যে সার্জারি করা লাগে। আমরা যাদের পাই, তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশ পরেই আসে। এই দেশের বাইরে থাকে। তবে অন্যান্য যাদের পাই তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরেই আসে। কেটে ফেললে কোনো দাগ হবে না, এমন হয় না। এটা তাহলে শুকাবেই না। প্লাস্টিক সার্জনরা এমনভাবে কাটবে যেগুলো চোখে না পড়ে। সহনীয় মাত্রায় যেন থাকে।