একটোপিক প্রেগন্যান্সি হওয়ার কারণ কী?
একটোপিক প্রেগন্যান্সি মানে হলো গর্ভধারণের স্বাভাবিক অংশ ছাড়া অন্য অংশে গর্ভধারণ করা। এ ক্ষেত্রে জরায়ুনালি, ওভারিতে বা জরায়ুমুখে গর্ভধারণ করতে পারে।
একটোপিক প্রেগন্যান্সির কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৮৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আমেনা বেগম।
বর্তমানে তিনি কে জি হসপিটালে গাইনি ও অবস বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : স্বাভাবিক জায়গায় না হয়ে অন্য পাশে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : স্বাভাবিকভাবে একটি ডিম ডিম্বাশয় থেকে বের হয়। বের হয়ে জরায়ুনালি দিয়ে প্রথমে আসে। ছেলেদের বীর্যটা যোনীপথ দিয়ে জরায়ুনালিতে যায়। সেখানে প্রথম প্রজননটা হয়। সেখানে প্রথম নিশিক্ত হয়, তিন দিনের মতো, ৭২ ঘণ্টা থাকে, জরায়ুনালি থেকে সেটি ইউটেরাসের ভেতর এসে, কিছু সময় সেখানে বড় হয়। এখন জরায়ুনালিতে এসে যে সে থাকবে, ওইখান থেকে একটি নড়াচড়ার মাধ্যমে জরায়ুতে আসে। এখন কোনো কারণে যদি এই পথে তার সমস্যা হয়, জরায়ুনালি ঠিকমতো পাস করতে পারছে না, তাহলে কিন্তু জরায়ুনালিতে এমনি থেকে যাচ্ছে, একসময় বড় হয়ে একটোপিক প্রেগন্যান্সি হচ্ছে।
প্রশ্ন : এ ক্ষেত্রে কি অনেক কারণ জড়িত?
উত্তর : অবশ্যই, অনেক কারণ জড়িত। অনেক ঝুঁকির কারণ রয়েছে। প্রধান যে সমস্যাগুলো, সেগুলো হলো জরায়ুনালির সমস্যা।
এখন একটি সংক্রমণ হয়, পিআইডি সংক্রমণ। এর মানে হলো প্রজনন অংশের যেকোনো জায়গার সংক্রমণ। সেটি যেকোনো জায়গায় হোক না কেন, সেটার প্রভাব কিন্তু জরায়ুনালিতে গিয়ে পড়ছে। প্রদাহ হচ্ছে, এর জন্য প্রেগন্যান্সি ওখানে থেকে যেতে পারে। জরায়ুনালির যে স্বাভাবিক কাজটি, সেটা সে করতে পারছে না। ইদানীং পেলভিকটিভি হচ্ছে বা এন্ডোমেট্রোসিস হচ্ছে, সেটা ছাড়া বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা, যেমন—অভুলেশন ইনডাকশন, কিছু ওষুধ ব্যবহার করি বা আরো আধুনিক টেকনোলজি, যেমন—টেস্টটিউব বেবি করা হচ্ছে, সেগুলোর জন্যও দেখা যায় একটোপিক প্রেগন্যান্সির হার বাড়ছে।
আর আরেকটি জিনিস বাংলাদেশে দেখা যায়, যেখানে সেখানে অদক্ষ হাতে এমআর, অ্যাবোরশন, হচ্ছে, জীবাণুমুক্ত পরিবেশ না এ রকম জায়গায় হচ্ছে, দেখা যায় এগুলোর কারণে সংক্রমণ ওপরে চলে যায়। এ ক্ষেত্রেও একটোপিক প্রেগন্যান্সি হওয়ার ঝুঁকি বেশি।