একটোপিক প্রেগন্যান্সি যেভাবে নির্ণয় করা হয়
গর্ভধারণ সঠিক অংশে না হয়ে অন্য অংশে (যেমন জরায়ুনালি, ওভারি ইত্যাদি) হওয়াকে একটোপিক প্রেগন্যান্সি বলে। এই ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষণ হলো পেট ব্যথা করা। পাশাপাশি বমি, ক্ষুধামান্দ্য ইত্যাদি লক্ষণ থাকতে পারে।
একটোপিক প্রেগন্যান্সি নির্ণয়ের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৮৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আমেনা বেগম। বর্তমানে তিনি কে জি হসপিটালে গাইনি ও অবস বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : একটোপিক রোগী আপনারা কীভাবে নির্ণয় করেন?
উত্তর : আমাদের কাছে এলে আমরা ইতিহাস নেই। অনেক রোগী একদম ফ্যাকাশে, খুব মারাত্মক রক্তস্বল্পতা নিয়ে আসে। তার রক্তক্ষরণ অনেক হয়েছে, পালস খুব রেপিড। প্রেশার একদম কমে গেছে, হাত-পা একদম ঠান্ডা হয়ে গেছে। পেটে হাত দিলে দেখা যায় ফুলে গেছে। মানে ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়ে পেট শক্ত হয়ে আছে। একটোপিক হতে পারে—এই ঝুঁকি রেখেই নির্ণয় করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হলো টিভিএস করা। অনেক অগ্রবর্তী পদ্ধতি চলে আসছে। আমরা টিভিএস হলে খুব ভালো দেখতে পাই। আমি পরীক্ষা করে দেখলাম যে জরায়ুতে যেখানে বাচ্চা থাকার কথা, সেখানে নেই। কিন্তু গর্ভাবস্থা পজিটিভ, সেখানে স্বাভাবিক জায়গায় নেই একটোপিক রয়েছে। তখন খোঁজার প্রশ্ন আসে যে কোথায় রয়েছে। আর যদি রক্তক্ষরণ হয়ে যায়, তখন আলট্রাসনোতে আরো পাওয়া যায়, পুরো পেট জমে রক্ত জমে আছে। এটি দেখে আমরা বুঝতে পারি যে একটোপিক হয়েছে।