ল্যাপারোস্কোপির ব্যবহার হয় যেসব রোগ নির্ণয়ে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/02/04/photo-1517761652.jpg)
সাধারণত গাইনোকোলজিক্যাল বিভিন্ন বিষয়ে ল্যাপোরোস্কোপির ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে রোগ নির্ণয় অন্যতম। ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করা হয়।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৮৪তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. তৌহিদা আহসান। বর্তমানে তিনি প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : রোগ নির্ণয়ের জন্য যে ল্যাপারোস্কোপি সেটি সম্পর্কে বলুন?
উত্তর : ডায়াগনোস্টিক ল্যাপারোস্কোপি খুব বেশি ব্যবহৃত হয়, বন্ধ্যাত্বের কারণ নির্ণয়ে। কারণ, যে সব পরীক্ষা আমরা করি এতে সোনোগ্রাফি অনেক সাহায্য করে। এম আর আই, সিটি স্ক্যান খুব বেশি আমরা ব্যবহার করি না। বরং আমরা ডায়াগনোস্টিক ল্যাপারোস্কোপি করে অনেক ভালো বুঝতে পারি। এটি ২০ গুণ বড় করে চোখের সামনে দেখা। তার টিউবে ব্লক রয়েছে কি না দেখা হয়। জরায়ুর যে দুই পাশের ডিম্বনালি সেটি বড় করে দেখা হয়। বন্ধ্যত্বের ক্ষেত্রে ওই টিউবগুলো যখন ব্লক থাকে সেটি একটি বড় কারণ হয়।
এরপর আরো অনেক কারণ রয়েছে। এন্ডোমেট্রিওসিস একটি কারণ, অনেক সময় একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িয়ে লেগে থাকে। সেগুলো রয়েছে কি না। এরপর ধরুন তার ওভারিটা কেমন- এগুলো আমরা দেখতে পারি ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে।
এ ছাড়া ধরুন অনেকদিন ধরে তার ব্যথা, ভালো হচ্ছে না। এটি নির্ণয়ের জন্যও আমরা অনেক সময় ডায়াগনোস্টিক ল্যাপারোস্কোপি করি।
প্রশ্ন : কীভাবে এটি করা হয়?
উত্তর : ছোট একটি পোর্ট করা হয়, এক সেন্টিমিটার, টেলিস্কোপটা ঢুকানোর জন্য। এর মাধ্যমে অনেক শক্তিশালী একটি আলো দিয়ে ভেতরে দেখা হয়। ২০ গুণ বড় করে আমরা সব জায়গা দেখতে পারি। শুধু যে গাইনির অংশ দেখি সেটি নয়। আমরা গলব্লাডার দেখতে পারব,ডায়াফার্মের নিচে – সব জায়গায় দেখতে পারব, যেন একটি চোখ ভেতরে ঢুকে গেছে।