ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কী করবেন?
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/02/18/photo-1518960252.jpg)
স্থূলতা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, বংশগতি ইত্যাদি ডায়াবেটিসের ঝুঁকির কারণ। তবে কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো মেনে চললে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০০১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. জাহাঙ্গীর তালুকদার। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কী করণীয়?
উত্তর : তাদের খুব কর্মক্ষম জীবনযাপন করতে হবে। তাদের ওজন ঠিক রাখতে হবে। ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে। কার্বোহাইড্রেট বা সাধারণ সুগারকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া যায়, সেটি চেষ্টা করতে হবে। কমপ্লেক্স সুগার খেতে হবে। আঁশকে নিয়মিত তাদের খাদ্যের মধ্যে রাখতে হবে। এ ছাড়া নিয়মিত তাদের চেকআপ করতে হবে। স্ক্রিনিং যেটি আমরা বলি, সেটি করতে হবে। ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যেই আমাদের স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন। তাদের কারো যদি ব্লাড সুগার থাকে, অস্বাভাবিক ফাস্টিং ব্লাড সুগার থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে। সীমাবদ্ধ ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত ব্লাডপ্রেশার মাপতে হবে।
সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকলে ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তবে একপর্যায়ে কিছু লোকের চিকিৎসার দরকার হয়। ওষুধগুলো আমরা বিভিন্নভাবে ভাগ করে নিই। কারো ইনসুলিনের পরিমাণ যদি খুবই কমে যায়, ইনসুলিন দিতে হয়। প্রথম দিকে রোগীর যদি অনেক ওজন থাকে, ওজনকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু ওষুধ দেওয়া হয়, মেটফরমিন দলের। ওজন কমানোর জন্য আরো নতুন নতুন কিছু ওষুধ আমাদের বাজারে চলে এসেছে। সেই ওষুধগুলো আমরা যোগ করতে পারি। তাতে তার ওজন কমে যায়। সে যদি কার্বোহাইড্রেট কমায়, তাহলেও তার ওজনটা বেশি হয় না।