হাইপো ও হাইপারথাইরয়েডিজমের লক্ষণ কী?
দেহের থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে কম হরমোন বের হলে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। এর লক্ষণ কী?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০০৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নুরুন নাহার। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস বিএমএমের পরিচালক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : থাইরয়েডের কার্যক্রমে সমস্যা হলে কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে?
উত্তর : যদি থাইরয়েড গ্রন্থি কম কাজ করে তখন হাইপোথাইরয়েডিজম হয়, সেখানে রোগীর সমস্ত কাজকর্ম ধীর গতির হয়ে যাবে। কারণ, হরমোন কম রয়েছে। সেক্ষেত্রে রোগীর ঘুম বেশি পাবে, শরীর মোটা হয়ে যাবে। স্মৃতিশক্তি কমে যাবে। কথা মনে থাকবে না। তার চলাফেলা ধীর গতির হয়ে যাবে। ঘুমাবে বেশি, কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। ছোট বাচ্চাদের বেলায়, দেখা যায় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আর বাচ্চা শুধু ঘুমায়। দেখে মনে হয় খুব শান্ত বাচ্চা। তবে আসলে এটা হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য হতে পারে। বুদ্ধির যে পরিপক্বতা সেটি কম হয়।
আর হাইপার থাইরয়েডিজম যদি হয়, তাহলে থাইরয়েড হরমোন শরীরে বেশি থাকে। তখন শরীরের মেটাবলিজম বেশি হয়ে যায়। রোগীর অস্থিরতা হয়। প্যালপিটিশন হয়, বুক ধরফর করে। ঘুম কম হয়, শরীর শুকিয়ে যায়। যথেষ্ট ক্ষুধা থাকার পরও তার শরীর শুকিয়ে যায়। তারপর অনেক সময় পাতলা পায়খানা হয়। অনেক সময় রোগী মনে করে আমার হার্টের সমস্যা। হার্টের চিকিৎসকের কাছে যায়। অনেক সময় মনে করে খাদ্যনালির সমস্যা। গ্যাসট্রোএন্ট্রোলজিস্টের কাছে যায়। তবে এগুলো হাইপার থাইরোয়েডিজমের কারণে হয়।