শিশুর কৃমি প্রতিরোধে আট পরামর্শ
সারা বিশ্বেই বিভিন্ন রকম কৃমির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। আমাদের দেশেও এর প্রাদুর্ভাব রয়েছে। শিশুরা এ সমস্যায় একটু যেন বেশি আক্রান্ত হয়। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কৃমি অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
যেসব উপায়ে কৃমি প্রতিরোধ করা যেতে পারে :
১. জন্মের পর প্রথম পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো। এ সময় অন্য কোনো খাবার বা পানীয়ের প্রয়োজন নেই।
২. পাঁচ মাস বয়স হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করে খেতে দেওয়া।
৩. খাবার তৈরির আগে এবং খাবার দেওয়ার পরে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। খাবার ভালো করে সেদ্ধ করে পরিষ্কার পাত্রে রাখতে হবে।
৪. পরিষ্কার ও নিরাপদ পানির ব্যবহার ব্যবহার—খাবার, ধোয়া, মোছা, রান্না ইত্যাদি কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে কখনোই দূষিত পানি ব্যবহার করা যাবে না।
৫. সাবান দিয়ে অথবা ছাই দিয়ে হাত ধোয়া—পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে মলত্যাগের পর খাবার তৈরি এবং পরিবেশনের আগে ও খাবার গ্রহণের আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৬. স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পয়োনিষ্কাশন পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে।
৭. ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৮. খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।