পুড়ে গেলে চিকিৎসায় করণীয়
কোনো ব্যক্তি পুড়ে গেলে প্রাথমিক ব্যবস্থাপনা করার পর তাকে দ্রুত কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে।
পুড়ে যাওয়ার চিকিৎসায় করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০১৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তানভীর আহমেদ। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : পোড়া পরবর্তী পুনর্গঠন কীভাবে করেন?
উত্তর : এর ভেতরে অনেক অংশ রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় যদি ভালো ব্যবস্থাপনা হয়, তাহলে এর ওপর চাপটা কম পড়ে। পোড়া পরবর্তী যে বিকৃতিগুলো হচ্ছে, সাধারণত দেখা যায় একটা হাত বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, বাজে একটা স্কাল হচ্ছে, মুখে একটি বিকৃতি হচ্ছে, চোখের পাতা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, মুখটা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সেই প্রত্যেকটা জিনিসকে আমাদের দেখতে হয়। একজন পোড়া রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর আমরা বলি কম পক্ষে ১৮ মাস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগে থাকতে হবে। তাদের শরীরে আমরা তখন বিভিন্ন ওয়েনমেন্ট ব্যবহার করি। বিভিন্ন ধরনের যে ইমুলুয়েন্টস বলা হয়, বিভিন্ন কিছু যাকে দিয়ে স্কারকে নরম রাখা হয়।
দুই হলো ফিজিওথেরাপিস্ট। খুব কাছ থেকে আমরা ফিজিওথেরাপির সঙ্গে কাজ করি। ফিজিওথেরাপিস্টের আওতায় থাকে থাকতে হবে। তারা তাকে ম্যাসাজ শেখাবে। তাকে বিভিন্ন ব্যায়াম শেখাবে। তাহলে কনট্রাকচার প্রতিরোধ হবে। বিভিন্ন ধরনের স্লিন্ট আমরা ব্যবহার করি। এই দুটো ব্যবস্থাপনাতে যাদের কাজ হবে না, দেখা যাবে তাদের কিলোয়েড হবে, অথবা হাত পা বাঁকা হবে। তখন সাধারণত আমরা তাদের বলি হাসপাতালে চলে আসার জন্য। তাদের তখন আমরা সার্জারি করে পুনর্গঠন করি। একে বড় বড় অনেক সার্জারি করতে হয়। শুধু ত্বক প্রতিস্থাপন করতে হয়। কারো রিলিজ করে আমরা বড় একটা ফ্ল্যাপ দিতে পারি। অথবা তাকে রিলিজ করে মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে অন্য অংশ থেকে একটা অংশ দিতে পারি। আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে, যাকে বলে টিস্যু এক্সপানডার। যেগুলো একটু দামি। বাইরের দেশে তারা ব্যবহার করে।