গর্ভধারণের আগে কাউন্সেলিং কেন জরুরি?
গর্ভধারণের আগে কাউন্সেলিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে কোনো সমস্যা থাকলে আগে থেকে সচেতন হয়ে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
গর্ভধারণের আগে কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০১৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. শামিমা নার্গিস নিলা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : প্রি-প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব কতখানি? আপনারা কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দেন?
উত্তর : প্রি-প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নতুন বিবাহিত দম্পতি তারা বাচ্চা নিতে চায়। তারা কিছুই জানে না বাচ্চা নিয়ে ফেলল। নেওয়ার পর দেখা যায় তার হয়তো ডায়াবেটিস ছিল। তার হয়তো বা প্রেশার ছিল, সে জানেই না। তাই তারা যদি পরিকল্পনা করার সময় আমাদের কাছে আসে, তাহলে আমরা তাদের ইতিহাস নিয়ে, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, দেখতে চাই যে তাদের কোনো ডিজঅর্ডার রয়েছে কি না। এটি আমরা ঠিক করে নিতে পারব। এরপর গর্ভাবস্থা নিলে মা ও শিশুর কোনো ঝুঁকি থাকে না। আবার এমনও হয়, এ সময় আমরা একটা ভিটামিন দিই, যাকে আমরা জিংক বলি। এটা যদি কেউ গর্ভধারণের তিন মাস আগে থেকে খায়, তাহলে বাচ্চার অনেক সমস্যা হয় না। মূলত ফলিক এসিড, জিংক দুটোই আমরা দিই।
আবার কারো যদি ডায়াবেটিস থাকে, সে হয়তো আগে থেকে জানে না, তাকে যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করিয়ে বাচ্চা নেওয়াই তাহলে কনজেনিটাল এনোমালি প্রতিরোধ করতে পারি।
উচ্চ রক্তচাপও একই রকম। অনেকে উচ্চ রক্তচাপের বিষয়টি জানে না। আমরা তাকে উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে গর্ভাবস্থা নিতে বলতে পারি। আবার এমনও রয়েছে, যার উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, সে একটি ওষুধ খেতে চাইছে, সে ওষুধ গর্ভাবস্থার জন্য ঠিক নয়। ওটা খাওয়া অবস্থায় গর্ভধারণ করল, তারপর আমার কাছে এলো, আগেই যদি আমাদের কাছে আসে, তাহলে একটি পরামর্শ আমরা দিতে পারি। কিছু জটিল জটিল রোগের বেলায়ও আছে, থেলাসেমিক, ক্যারিয়ার হয়, সেগুলোও এড়ানো যায়।