গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসোনোগ্রামের গুরুত্ব কতখানি?

সাধারণত বাচ্চার অবস্থান, উপস্থিতি বুঝতে গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসোনোগ্রাম করা হয়। গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসোনোগ্রামের গুরুত্বের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০১৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. শামিমা নার্গিস নিলা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসোনোগ্রামের গুরুত্ব কতখানি?
উত্তর : এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। প্রথম ট্রাইমিস্টারে যখন আসে, তখনই আমরা আল্ট্রাসোনোগ্রাম করি। এর সুবিধা হলো ডেটটা আমরা করতে পারি। দ্বিতীয় হলো গর্ভাবস্থাকে আমরা কনফার্ম করলাম। এর পরে আমরা ২২ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে একটি আল্ট্রাসোনোগ্রাম করি। একে আমরা বলি এনোমালি স্ক্যান। এটি করলে শিশুর সব দেখা যায়। মস্তিষ্কের বৃদ্ধি, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, আঙ্গুল সবকিছু আমরা দেখতে পারি। দেখতে পারি ডেপলপমেন্টাল কোনো এনোম্যালি তার রয়েছে কি না। শেষের দিতে ৩২ থেকে ৩৪ সপ্তাহে আমরা আল্ট্রাসোনোগ্রাম করি। এটি থেকে আমরা বাচ্চার বৃদ্ধিটা দেখতে পাই। তাই আল্ট্রাসোনোগ্রামের ভূমিকাতো অবশ্যই রয়েছে। এ ছাড়া যখন প্রয়োজন তখন আমরা করি। এ ছাড়াও অন্য প্রয়োজনে করা যায়।