আর্থোস্কোপির সুবিধা কী?
আর্থোস্কোপি আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি। এই সার্জারি সাধারণত জয়েন্টে করা হয়। এ ক্ষেত্রে ছোট্ট করে কেটে, যন্ত্র ঢুকিয়ে ক্যামেরার মাধ্যমে দেখে সার্জারি করা হয়।
আর্থোস্কোপির সুবিধার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০২০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. পারভেজ আহসান। বর্তমানে তিনি ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : আর্থোস্কোপির সুবিধা কী?
উত্তর : হাসপাতালে থাকাটা খুব কম হয়। এর মানে খুব দ্রুত ঠিক হয়। একটি ওপেন অপারেশনে আমাদের হাসপাতালে থাকা লাগে পাঁচ থেকে সাত দিন। এ ক্ষেত্রে আমরা কমিয়ে দুই থেকে তিন দিন করি। সকালে অস্ত্রোপচার করে বিকেলেই ওরা ছেড়ে দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ওপেন করলে রোগীর অনেক ভয় যে হাঁটুটা আবার ঠিক হবে কি না। পুনরায় আগের অবস্থায় যাব কি না। কিন্তু আমরা ফুটো করে ক্যামেরা দিয়ে দেখে যতটুকু সমস্যা, ঠিক ততটুকু ঠিক করছি। দেখা যায়, ওপেন সার্জারিতে অল্প কাজের জন্য অনেক কাটা লাগে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজের জন্য অল্প কেটে আমরা কাজটা সমাধান করতে পারছি। এ কারণে এখন আর্থোস্কোপিটা বিশ্বে খুব প্রচলিত।
প্রশ্ন : এই অস্ত্রোপচারের জন্য অ্যানেসথেসিয়া বা অজ্ঞান কোন পদ্ধতিতে করেন?
উত্তর : সার্জারির একটি অন্যতম অংশ হলো অ্যানেসথেসিয়া। এই অ্যানেসথেসিয়ার ভেতর অনেক আধুনিকতা চলে এসেছে। আগে যেমন পুরো শরীর অবশ করে অস্ত্রোপচার করা হতো, এখন স্পাইনাল অ্যানেসথেসিয়া রয়েছে, ইপিডুয়াল অ্যানেসথেসিয়া রয়েছে। এগুলো রোগীর জন্য খুব নিরাপদ। সেই অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে আমরা অত্যন্ত স্বল্প সময় আর্থোস্কোপিটা করি। যে পায়ে অস্ত্রোপচার করি, সে পায়ে বেশি অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে আমরা কাজ সমাধান করি।