পুরুষদের প্রস্রাবে সংক্রমণ কেন হয়?
একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর পুরুষদের সাধারণত প্রস্রাবে ইনফেকশন বা সংক্রমণ দেখা যায়। এটি কেন হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০২১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. হারুন অর রশিদ।
বর্তমানে তিনি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটে কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : পুরুষদের প্রস্রাবজনিত ইনফেকশন কেন হয়?
উত্তর : পুরুষের ক্ষেত্রে আমাদের প্রোস্টেট গ্রন্থি রয়েছে। সেই প্রোস্টেট গ্রন্থি যখন বড় হয়ে যায়, তখন প্রস্রাবের রাস্তায় বাধাপ্রাপ্ত হয়। আজকাল যে ওষুধ বেরিয়েছে, সেটিতে কিন্তু ঠিক করে দেওয়ার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। আর মেয়েদের যেহেতু প্রস্রাবের রাস্তা সরু, সে ক্ষেত্রে তাদের যদি এ ধরনের সমস্যা হয়, সেটা মেরামত করা একটু কষ্টজনক। তবুও যেসব ওষুধ, সেগুলো সমস্যার অনেকটা ব্যবস্থাপনা করে।
যারা ডায়াবেটিসে ভোগে, তাদের নিউরোজেনিক ব্লাডার তৈরি হয়, নিউরোজেনিক ফাংশন ঠিকমতো করে না। সঠিকভাবে কাজ না করতে পারলে প্রস্রাব ঝড়ার প্রবণতা বাড়ে। অথবা প্রস্রাবটা ব্লাডারে থেকে যায়। একে আমরা বলি রিটেনশন অব ইউরিন বা ইনকনটিনেন্স অব ইউরিন।
প্রশ্ন : এগুলোর চিকিৎসা কখন করা উচিত বলে মনে করেন?
উত্তর : আলট্রাসনোগ্রামে যদি ব্লাডার দেখা যায়। যে ১০০ সিসির ওপরে তার ব্লাডারে প্রস্রাব জমা থাকে, প্রস্রাব করার জন্য তাকে বারবার প্রতি ঘণ্টায় বাথরুমে যেতে হচ্ছে, তখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সাধারণত দুই ঘণ্টার ওপর পুরুষরা আটকে রাখতে পারে। মেয়েরা চার-পাঁচ ঘণ্টা রাখতে পারে না। সমস্যা হয়। যদি আলট্রাসনোগ্রামে দেখা যায় সত্যি প্রোস্টেট বড় রয়েছে, তখন অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে।