শিশু কেরোসিন খেয়ে ফেললে কী করবেন?
কেরোসিন পয়জনিং আমাদের দেশের শিশুদের মধ্যে, বিশেষ করে গ্রামের শিশুদের মধ্যে খুব বেশি ঘটে। এ কারণে মা-বাবাদের সব সময় এ বিষয়ে সাবধান হতে হবে।
কী করে বুঝবেন?
- শিশুর মুখের ভেতরটা পুড়ে যেতে পারে।
- শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া যাবে।
- শিশুর নাক-মুখ দিয়ে কেরোসিন বের হতে পারে।
- নাড়ির গতি দ্রুততর হবে।
কী করবেন?
- পাকস্থলীতে কেরোসিনের ঘনত্ব কমিয়ে আনার জন্য শিশুকে দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর বয়স পাঁচ বছরের বেশি হলে দুই গ্লাস দুধ খেতে দিতে হবে।
- শিশু কেরোসিন খাওয়ার পর বমি করে ফেললে তা যেন ফুসফুসে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিশুকে উপুড় করে, মাথা কিছুটা নিচের দিকে রেখে শোয়াতে হবে। কারণ, কেরোসিন ফুসফুসে গেলে শিশুর নিউমোনিয়া হতে পারে।
- এর পর প্রাথমিক চিকিৎসার পরে শিশুকে হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে নিতে হবে এবং অবশ্যই নিউমোনিয়া প্রতিরোধের জন্য একটি অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে।
কী করবেন না
- শিশুর কেরোসিন পয়জনিং এড়াতে হলে কেরোসিন কখনোই শিশুর নাগালের মধ্যে রাখবেন না।
- কেরোসিন পয়জনিং হয়ে গেলে কখনই গলাতে আঙুল দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে শিশুকে বমি করানোর চেষ্টা করবেন না। এতে শিশুর গলা-মুখ পুড়ে যেতে পারে।
- আক্রান্ত শিশুকে চিৎ করে শোয়াবেন না।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।