কানের তরুণাস্থির প্রদাহ হলে করণীয়
পিনা হলো কানের উপরিভাগের অংশ। এটি তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি, যা চামড়ার নিচে থাকে। একে পেরিকন্ড্রিয়ামও বলে। কানের নিচের অংশের নাম লবিউল বা কানের লতি। আর এই পেরিকন্ড্রিয়ামে কোনোভাবে সংক্রমণ হলে পেরিকন্ড্রাইটিস সৃষ্টি হয়।
কানের যেকোনো আঘাতজনিত কারণে বা সার্জারির কারণে এই রোগের সৃষ্টি হয়। কানে পোকামাকড় কামড়ালে বা পুড়ে গেলেও এটা হতে পারে। আজকাল কিছুসংখ্যক নারী কানের লতি বাদে অন্য অংশে, অর্থাৎ কানের লতির উপরিভাগে তরুণাস্থির অংশে কান ফুটিয়ে থাকে একাধিক কানের দুল বা স্বর্ণালংকার ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। এই রোগ হলে কানের পিনা বা অরিকল ফুলে যায়। কানে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পরে পুঁজ হয় এবং কানের অ্যান্টিবায়োটিক পেরিকন্ড্রিয়ামে তরুণাস্থির মধ্যবর্তী স্থানে পুঁজ জমা হয়। এতে তরুণাস্থির পচন হয়।
চিকিৎসা
এই রোগ হলে প্রথমে জীবাণুনাশক ওষুধ দিতে হবে। সাধারণত ফ্লুক্লক্সাসিলিন গ্রুপের ওষুধে ভালো উপশম হয়। আর যদি সাব পেরিকন্ড্রিয়াম এবসেস হয়, সে ক্ষেত্রে অজ্ঞান করে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।