ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেলের ব্যবহার
গ্রিক মহাকবি হোমার অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেলকে তুলনা করেছেন তরল স্বর্ণের সঙ্গে। এক সময় যুক্তরাজ্যে অলিভ অয়েল তৈরি হলেও এখন সারা বিশ্বেই এই তেল বেশ জনপ্রিয়।
এ যুগের মেয়েদের রূপচর্চায় অলিভ অয়েল ছাড়া যেন চলেই না। আজকাল ক্রিম, লোশন, শ্যাম্পু অনেক প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে এই তেল।
এই তেল খুব সহজেই ত্বকের গভীরে পৌঁছে আর্দ্রতা বজায় রাখে। এর ক্লিনজিং ইফেক্ট (পরিষ্কারক প্রভাব)- এর কারণে ত্বকে ময়লা জমতে পারে না। রাতে শোবার আগে অলিভ অয়েল মুখে ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করে একটি টিস্যু পেপার দিয়ে হালকা করে মুছে নিলে অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে এবং ভালো নাইটক্রিম হিসেবে কাজ করবে।
ডার্মাটোলজিস্টরা ত্বকের ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্কে অলিভ অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এ সব ফাটাদাগে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে দাগগুলো ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়। ফাঁটা দাগ হবে এই ভয়ে যারা সন্তান নিতে ভয় পায় তারা শুরু থেকেই রাতে শোবার আগে এবং গোসলের পর পেট ও ঊরুতে অলিভ অয়েল ব্যবহার শুরু করতে পারে। এটি অ্যান্টি স্ট্রেচ মার্ক ক্রিম হিসেবে কাজ করবে।
ক্ষতিগ্রস্ত চুল ও নখের কিউটিসল ঠিক করতে এর ভূমিকা অতুলনীয়। মজার বিষয় হলো, আজকাল ছেলেরা আফটার শেভ হিসেবেও অলিভ অয়েল ব্যবহার করছে।
লেখক : ডার্মাটোলজিস্ট, শিওরসেল মেডিকেল বিডি