সেপসিসের চিকিৎসায় করণীয়
সেপসিস সংক্রমণের কারণে হওয়া এক ধরনের রোগ। সেপসিসের চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৩৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তাসবীরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির পালমোনারি অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : আপনাদের কাছে যখন রোগীরা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কী অবস্থায় পান? তাৎক্ষণিকভাবে রোগীদের কীভাবে ব্যবস্থাপনা করেন?
উত্তর : একটি জিনিস বলি, কারো যদি কফ হয়, কফটা যদি হলুদ হয়, কারো যদি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করে, খুব ডায়রিয়া হচ্ছে, গলায় খুব ব্যথা হচ্ছে, তাহলে মনে করতে হবে, তার সেপসিস হতে পারে। যখনই আমরা রোগীকে মনে করি যে সেপসিস, তখন দ্রুত দুটি জিনিস করতে হবে। একটি রক্ত নিতে হবে কালচারের জন্য, আর দ্বিতীয় হলো অ্যান্টিবায়োটিকটা দিয়ে দিতে হবে।
কালচার রিপোর্ট পেতে দুই থেকে তিন দিন লেগে যাবে। দুই/তিন দিন কিন্তু বসে থাকতে পারব না। আজকে বললাম সেপসিস, পরেই কিন্তু সেপটিক শকে চলে যেতে পারে। দ্রুত একটি অ্যান্টিবায়োটিক দিই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেওয়া।
প্রশ্ন : রোগীরা কি দ্রুত আসে, নাকি জটিল অবস্থায় চলে আসে?
উত্তর : আমি কাজ করি যুক্তরাষ্ট্রে। তো যুক্তরাষ্ট্রের যে নার্স থাকে, সে দেখেই বুঝতে পারে রোগীর অবস্থা ভালো নয়। আর আরেকটি রোগীকে দেখে বুঝতে পারে সে স্থিতিশীল রয়েছে। যেই রোগী স্থিতিশীল নয়, তার জন্য দ্রুত চিকিৎসককে ডাক দেয়। আসলে ৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা রোগীকে দেখে ফেলি। আর যেই রোগীটা একটু স্থিতিশীল রয়েছে, তাকে আমাদের দেখতে হবে এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে। এটি নিয়ম। সেপসিস হলে সবচেয়ে প্রয়োজন একটি অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেওয়া।
হয়তো আপনার রোগ নির্ণয় ভুল ছিল, সেপসিসই ছিল না। এমনটাও হতে পারে। তাহলে আর অ্যান্টিবায়োটিক নিয়মিত করলাম না। আর যদি মনে হয়, এটি আসলেই সেপসিস, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দিন। এতে জীবন বাঁচাতে পারবেন।