গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে জটিলতা কী?
গর্ভাবস্থায় অনেকেরই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হয়। আবার অনেকের আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ থাকে, গর্ভাবস্থায় সেটি নিয়মিত হয়।
গর্ভবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বিভিন্ন জটিলতা হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৩৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. শামীম নার্গিস নীলা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে গাইনি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ক্ষতি কী?
উত্তর : বাচ্চাদের হয়ে যাবে কনজেনিটাল এনোমালি বা জন্মগত ত্রুটি। গর্ভধারণ এমন একটি বিষয় যাতে প্রেশারটা আরো বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া সিস্টেমিক যে সমস্যাগুলো আমাদের, যাকে বলি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, কিডনি ফাংশন নষ্ট হয়ে যাওয়া, ফুসফুস কাজ না করা, এই ধরনের সিস্টেমিক জটিলতাগুলো আগেভাগে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
আর একটা দল রয়েছে যারা চেকআপে এসেছে। এসে তাদের রোগ নির্ণয় হলো। এটা আমরা সাধারণত ২০ সপ্তাহের পরে দেখি। ২০ সপ্তাহের পর সিস্টোলিক প্রেশার যদি থাকে ১৪০, আর ডায়াস্টোলিক প্রেশার যদি ৯০-এর বেশি পাই, তখন আমরা বলি প্রেগনেন্সি ইনডিউস হাইপারটেনশন। আগে ছিল না তবে গর্ভাবস্থা হওয়ার পর তার হলো।
এটিও আমরা আবার ভাগ করি। যাদের এদের মধ্যে ইউরিনের সঙ্গে প্রোটিন যায়, তাদের দুটো দলে ভাগ করি। একটি হলো প্রি একলামসিয়া, আরেকটি হলো একলামসিয়া। এই দুটো খুবই বাজে সমস্যা। এই দুটো আমাদের দেশের মাতৃমৃত্যু হারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আর যাদের দেখা যাচ্ছে ইউরিনে প্রোটিন যাচ্ছে না, তাদের আমরা বলি জেসটেশনাল হাইপারটেনশন। এটিও হাইপারটেনশন। তবে এদের ক্ষেত্রে দেখা যায় কিডনির কার্যক্রমের অতটা তারতম্য হয় না। প্রেশার বাড়ে। ব্যবস্থাপনা একটু আলাদা হয়। তবে পুরোটাই আমাদের প্রেগনেন্সি ইনডিউস হাইপারটেনশন। সবটাই ২০ সপ্তাহের পরে হয়।
আরেকটি দল রয়েছে যাদের দেখা যায় ২০ সপ্তাহের আগেই হয়ে গেছে। এদের দেখা যায় এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন। আগে থেকে নিয়ে আসতে পারে। অথবা গর্ভধারণের পরপর হয়েছে। তবে ২০ সপ্তাহের আগে। এদের এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন বলি। এরা এলে কারণ অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা করি।