হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে করণীয়
অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় প্রচলিত রোগ। যেকোনো রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। কিছু বিষয় মেনে চললে অস্টিওপরোসিস অনেকাই প্রতিরোধ করা যায়।
অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ, সমস্যা নির্ণয়ে পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৪৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. ইউসুফ আলী। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হাড়ের অবস্থা কী রকম এটি বোঝার জন্য কি কোনো পরীক্ষা রয়েছে?
উত্তর : পরীক্ষা রয়েছে। ভিটামিন ডিথ্রি লেভের পরীক্ষা। আমাদের দেশে সব জায়গায় না হলেও মোটামুটি অনেক জায়গায় করা হয়। ডিথ্রি লেভেল দেখে নিতে পারি। ক্যালসিয়ামের মাত্রা দেখে নিতে পারি। বোন ডেনসিটি মাপতে পারি আমরা এখন।
তবে যেটা করলে আমরা বুঝি ৫০-৬০ বছর বয়স, এক্স-রেতে একটু কালো কালো দেখায়। তখন আমরা প্রতিরোধ হিসেবে পরীক্ষা করা ছাড়াই ওষুধ দেই।
প্রশ্ন : কী কী দেন?
উত্তর : এখানে আমরা ভিটামিন ডিথ্রি দিতে পারি, ক্যালসিয়াম দিতে পারি। বিস ফসফোনেট নামে একটি ওষুধ রয়েছে। এর ইনজেকশন, ওষুধ সব রয়েছে। কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এটা যদি আমরা আগে থেকে খাওয়ানো শুরু করি, তাহলে আর অস্টিওপরোসিস হওয়ার আশঙ্কা নেই।
প্রশ্ন : নারীদের ক্ষেত্রে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি এক সময় খুব আলোচিত ছিল। এ বিষয়ে একটু বলবেন?
উত্তর : এটি আর ব্যবহৃত হচ্ছে না। এক সময় যখন এসব নতুন ওষুধগুলো ছিল না, তখন আমরা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি দিতাম। কিন্তু হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, জটিলতা রয়েছে। সেসব চিন্তা করে আমরা এখন আর এই থেরাপিটা দেই না।
সবার আগে যেটি দরকার সেটি হলো প্রতিরোধ। প্রতিরোধের জন্য আমাদের তরুণ বয়সে ব্যায়াম করতে হবে। কর্মক্ষম থাকতে হবে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আমরা বোন মাস তৈরি করে নিতে পারলে যতই ক্ষয় হোক, এর পরও কিছু থেকে যাবে।