অবাঞ্ছিত লোমের চিকিৎসায় লেজার
অবাঞ্ছিত লোমের চিকিৎসায় লেজার বেশ কার্যকর। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৪৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন। বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেল বিডির ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোন কোন ক্ষেত্রে লেজার ব্যবহার করা হয়? রোগীরা কি জটিলতার ভয় পায়?
উত্তর : আমি একটি বিষয়ের কথা বলব, সেটি সৌন্দর্য ও চিকিৎসা, দুই ক্ষেত্রই কাজ করছে। সেটি হলো, অবাঞ্চিত লোম। অবাঞ্ছিত লোম অনেকের রয়েছে। এখন এটি অনেক প্রকটভাবে দেখা দিচ্ছে। কারণ, আমাদের জীবন যাপনের ধরন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ- এসব কারণেই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে অবাঞ্ছিত লোম শুরু হয়। ২০-২৫ বছরে যখন যায় তারা, তখন অনুভব করে। আর এর চিকিৎসা লেজারের মাধ্যমে সম্ভব। তবে এর চিকিৎসা অবশ্যই সমন্বয় করে করতে হবে।
আমাদের এর কারণ জানতে হবে। যদি তার জিনগত কারণে হয় বা হরমোনের কারণে হয়, সেগুলো ঠিক করতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
প্রশ্ন : লেজার চিকিৎসা নেওয়ার পর কি আবার সমস্যা হতে পারে? হলে করণীয় কী?
উত্তর : আমি যদি অবাঞ্ছিত লোমের কথা বলি এখানে অনেক সেশন লাগে। প্রতিটা সেশনে মেলানিন ও ফলিকলকে ধ্বংস করা হয়। প্রতিটি সেশনে কিন্তু ২০ ভাগ ধ্বংস হয়। সেই জন্য পুরোপুরি সারতে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি সেশন লাগছে। সেই ক্ষেত্রে রোগীরা হয়তো একবার বা দুবার করেই ভাবছে হয়ে গেছে।
প্রশ্ন : সম্পূর্ণ সেশন শেষ করার জন্য আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর : সেই ক্ষেত্রে একজন রোগী নির্বাচনের সময় তিনি যদি রাজি থাকেন যে আমি লেজার করব, তাকে প্রি কাউন্সেলিং করতে হবে। প্রি কাউন্সেলিং ও পোস্ট কাউন্সেলিং- দুটোই করতে হবে। লেজারের আগে তাকে জানতে হবে পরে কী হতে পারে। পাঁচটি সেশনে পুরোপুরি না গেলেও তার বাড়তি সেশন নিতে হতে পারে। দুই বছর পর তার অনেক সময় চুল তৈরি হতে পারে। তবে প্রথম দিকে চুলগুলো যেমন পুরো হয়, পরে কিন্তু হালকা হতে থাকে। এর মানে ধৈর্য ধরতে হবে এবং পুরো প্রক্রিয়াটা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শেষ করতে হবে।