রম্য
গরমে শরম পেলে চলবে?
গরম চলে এলো। বাইরে বের হলেও সূর্য মামুর হট শরীরের আঁচে আমরাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়ি। প্রচণ্ড গরম থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পেতে আমাদের গিট্টু মামা দিয়েছে কিছু সমাধান। তবে এসব কিন্তু শুধু হাস্যরসের পাঠকদের জন্যই।
১. গরমকালে বাধ্যতামূলকভাবে লুঙ্গি অফিশিয়াল পোশাক করা যেতে পারে। এতে যেমন নিজেদের দেশি পোশাক ব্র্যান্ড হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে, তেমনি সহজেই আলো-বাতাস ঢুকে দেহে আনবে প্রশান্তি। তবে অবশ্যই প্রয়োজনে লুঙ্গিতে বেল্ট ব্যবহার করতে হবে।
২. রাস্তার পাশে পাবলিক টয়লেটেরও পাঁচ গুণ পরিমাণে গোসলখানা নির্মাণ করা যেতে পারে। তবে গোসলখানার মান উন্নতমানের হতে হবে। যেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের ব্যবহার উপযোগী হয়। উচ্চবিত্তদের তো এসি এবং দামি সুগন্ধি আছেই।
৩. জাতীয়/মৌসুমি ওয়াটার ফুটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবলসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা যেতে পারে এ সময়ে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এ খেলার প্রচলনের ফলে প্রাকটিসের উদ্দেশ্যে হলেও এলাকার ডোবা, পুকুরগুলো স্ব-উদ্যোগে পরিষ্কার হতে পারে। এখন যেমন খেলার মাঠ সংরক্ষণ পরিষদ হয়, তখন হবে ডোবা সংরক্ষণ পরিষদ।
৪. সরকারের অ্যানালগ মিটার জমা নিয়ে ডিজিটাল মিটার লাগানোর মতন বাড়ি বাড়ি ফ্যান জমা নিয়ে যদি এসি দেওয়া যেতে পারে। পরে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে এর লোকসান পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
৫. বর্ষাকালে ঢাকা শহরের রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়। কোনোভাবে যদি এই বৃষ্টির পানি আটকিয়ে ওয়াটার রাস্তা পুরো বছর জুড়ে রাখা যেত, তাহলে হয়তো পরিবেশের উষ্ণতা একটু হলেও কমত।
৬. প্রত্যেক বাড়িওয়ালা তাঁর বাড়ির ছাদে ফ্ল্যাটের সংখ্যানুযায়ী ছোট ছোট ছাদবিহীন মাটির ঘর তৈরি করে দিতে পারেন। এতে যেমন বাংলা ঐতিহ্য ধরে রাখা যাবে, সঙ্গে গরমকালে বিদ্যুৎ না থাকলেও ঘুমটা ভালো হবে। তবে বিনা প্রয়োজনে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের ছাদে যেতে ‘নিষেধাজ্ঞা’ প্রদান করতে হবে।