একই দিনে এক হাজারে এনামুল-সাব্বির

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে এক হাজার রান পূর্ণ করার রেকর্ডটি ১১ বছর ধরে ছিল শাহরিয়ার নাফীসের দখলে। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন এনামুল হক। ২০১৫ সালের পর আবার বাংলাদেশের ওয়ানডে একাদশে জায়গা করে নেওয়ার পর মাত্র দুটি ওয়ানডে খেলেই রেকর্ডটি ছুঁয়ে ফেলেন এই ডানহাতি ওপেনার। এনামুলের পর একই দিনে এক হাজারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাব্বির রহমানও।
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচে নাফীস পূর্ণ করেছিলেন ওয়ানডেতে এক হাজার রান। এ জন্য তাঁকে খেলতে হয়েছিল ২৯টি ইনিংস। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে ক্যারিয়ারের ২৯তম ইনিংস খেলতে নেমে সেই এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এনামুলও।
নাফীস অবশ্য সময়ের হিসাবে সেরা কারণ অভিষেকের মাত্র এক বছর ১৬২ দিনের মধ্যেই তিনি ছুঁয়েছিলেন ওয়ানডেতে হাজার রানের মাইলফলক। ৩৪ ইনিংসে হাজার রান করে দ্রুততমের তালিকায় নাসির হোসেন ও ইমরুল কায়েস আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ১৯তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এনামুল। এক হাজার রান করার পথে তিনি খেলেছেন তিনটি শতক ও তিনটি অর্ধশতকের ইনিংস। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এনামুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ রান। এনামুলের পর বাংলাদেশের ২০তম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক হাজারের ক্লাব ঢুকেছেন সাব্বির রহমান। এই মাইলফল সাব্বির ছুঁয়েছেন ৪২তম ইনিংসে। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষপর্যায়ে সাব্বির খেলেছেন ১২ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস।
ব্যাটিং গড়ের হিসাবে অবশ্য এনামুল এগিয়ে আছেন অনেকের চেয়ে। এক হাজার রান পূর্ণ করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এনামুলের চেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় আছে কেবল তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের। তিনজনেরই ব্যাটিং গড় ৩৫-এর ঘরে। আর এনামুলেরটা ৩৪.৬২।