বাটলারের শতকে সিরিজ ইংল্যান্ডের
আগের দুই ম্যাচের চেয়ে তৃতীয় ম্যাচটাতে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা যা একটু গড়ে তুলতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবুও শেষ রক্ষাটা আর হলো না স্টিভেন স্মিথের দলের। পাঁচ ম্যাচের সিরিজটা ইংল্যান্ডই পকেটে পুরে নিল টানা তিন জয়ে।
সিডনিতে টসটা অবশ্য হেসেছিল স্বাগতিকদের পক্ষেই। স্মিথ ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানালেন ইয়ন মরগানদের। অসি বোলাররা বল হাতে স্মিথের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতার প্রমাণ দিচ্ছিলেন বেশ ভালোই।
১০৭ রানেই তুলে নেওয়া গিয়েছিল সফরকারীদের টপঅর্ডার। জনি বেয়ারস্টোর ৩৯ রানটাই ছিল সর্বোচ্চ। দলনায়ক মরগানকে সঙ্গে নিয়ে এর পরই লড়াইটা শুরু করেন উইকেটরক্ষক জশ বাটলার।
পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৬৫ রান। ৪১ রান করে মরগান ফিরলেও ক্রিস ওকসকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা তো সচল রেখেছেনই বাটলার সাথে তুলে নিয়েছেন নিজের ৪র্থ ওয়ানডে শতক।
৮৩ বলে চারটি ছয় আর ছয়টি চারে বাটলার অপরাজিত থেকে যান কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রানেই। অপর পাশে ক্রিস ওকস ৩৬ বলে হাঁকিয়েছেন ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। জশ হ্যাজলউড অসিদের হয়ে নিয়েছেন জোড়া উইকেট।
জবাব দিতে নেমেই ডেভিড ওয়ার্নারকে হারিয়ে বিপাকে পড়া অস্ট্রেলিয়া শিবিরকে ফের বাঁচানোর চেষ্টা করেন অ্যারন ফিঞ্চ। ক্যামেরুন হোয়াইট আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন এ ম্যাচেও। তাঁর ফিরে যাওয়ার পর দলপতি স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার আশার মশালে আলো ছড়াতে থাকেন ফিঞ্চ।
৬৯ রানের জুটি গড়ে ৬২ রান করে বিদায় নেন ফিঞ্চ। ৫৩ বলে সমান তিনটি চার আর তিনটি ছয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন ফিঞ্চ। মিচেল মার্শের সাথে স্টিভেন স্মিথের আরেকটি দারুণ জুটি গড়ে ওঠে ফিঞ্চ ফিরে যাওয়ার পরই।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক আর মার্শ মিলে তুলেন ৬৮ রান। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে স্মিথ ফিরলেও মার্শ দেখা পেয়েছেন অর্ধশতকের (৫৫)। ম্যাচের শেষটা দারুণ এক ফিফটিতে (৫৬) জমিয়েই দিয়েছিলেন মার্কাস স্টইনিস।
কিন্তু বিধিবাম, ৪৯তম ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে শেষ ওভারে রান ব্যবধানটা ২২ রানে নিয়ে যান ইংলিশ পেসার মার্ক উড। আর শেষের ওভারটাতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্রিস ওকস স্টইনিসের উইকেটসহ দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। ব্যস, ১৬ রানের জয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজটাই হয়ে যায় ইংলিশদের।