ছোট পুঁজির পরও টাইগারদের বড় জয়
ইনিংস শেষে স্কোরকার্ডে বাংলাদেশের সংগ্রহটা খুব বেশি বড় হয়নি। অবশ্য ইনিংস বিরতিতে মাশরাফিদের দেখে একবারের জন্যও মনে হচ্ছিল না ম্যাচটায় পিছিয়ে আছে টাইগাররা। ফলাফলটাও হলো তেমনই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে টাইগাররা মাঠ ছাড়ল বড় জয় নিয়েই।
ত্রিদেশীয় সিরিজ বিবেচনা করলে ম্যাচটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। জয়ের ক্ষুধাটা যে তাতেও কমছে না, বাংলাদেশের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারসহ সবাই জানিয়ে গেছেন তেমনটাই। ৯১ রানের বিশাল জয়টা প্রমাণও করল সেটাই।
জিম্বাবুইয়ান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিল ২১৬ রানের সাদামাটা স্কোর। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বারবার পথ হারানো সফরকারীরা শেষমেশ সংগ্রহ করেছে ১২৫ রান। ১৪.৩ ওভার বাকি থাকতেই মাশরাফিদের জয়টা বড় ব্যবধানেই।
তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের মাটি কামড়ানো ব্যাটিংয়ে এতটুকু বেশ বোঝা যাচ্ছিল যে, উইকেটটা ঠিক ‘ফুলশয্যা’ নয়। তাই তো হ্যামিলটন মাসাকাদজা আর সোলেমন মায়ারের শুরুটাও ছিল বেশ রক্ষণাত্মক।
দুজনের মন্থর ব্যাটিংয়ে টাইগার শিবিরের হয়ে প্রথম বাধটা সাধেন দলনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বলটা মাসাকাদজার ব্যাটের আগায় চুমু দিয়ে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো সাব্বিরের হাতে।
অধিনায়কের পর এবার সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আসলেন হন্তারক রূপে। এক ওভারেই টানা দু’বলে ফেরালেন মায়ার এবং ব্র্যান্ডন টেলরকে। হ্যাট্ট্রিকটা এবারও হয়নি। তাতে কি, টেলরকে তো ফিরতে হয়েছে মোকাবিলা করা প্রথম বলটাতেই।
মাশরাফি এরপর ক্রেইগ অরভিনকে শিকার করেন সাব্বিরের ক্যাচ বানিয়ে। সিকান্দার রাজা আর পিটার মুর এরপর চেষ্টাটা করলেন যতটা পারা যায় বাংলাদেশের জয়টাকে বিলম্বিত করার।
পুরো ১৪ ওভার দুজন যেন উইকেটে গেড়ে রেখেছিলেন শিকড়। রান অবশ্য আসেনি সেই অনুপাতে। তবুও উইকেট দেখা দিচ্ছিল না বাংলাদেশি বোলারদের। মুস্তাফিজুর রহমান এসেই তুলে নিয়েছিলেন টানা তিন মেডেন ওভার। চতুর্থ ওভারটার শেষ বলে পিটার মুর এক রান নিলে টানা চার ওভার মেডেন নেওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয় মুস্তাফিজকে।
কাটার মাস্টার যে চাপটা সৃষ্টি করেছিলেন সিকান্দার রাজাদের ওপর ২২তম ওভারে এসে সানজামুল ইসলাম তার ফায়দা তুলেছেন জোড়া উইকেট নিয়েই। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেছেন পিটার মুর আর ম্যালকম ওয়ালারকে।
এরপর লেজটা ধীরেসুস্থেই গুটিয়ে দিয়েছেন রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজ আর সাকিব মিলে। ১২৫ রানে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে দেওয়ার দিন সাকিব নিয়েছেন তিনটি উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ, মাশরাফি আর সানজামুল। বাকি উইকেটটা গেছে রুবেলের ঝুলিতেই।